ঢাকা ২০ ফেব্রুয়ারি, সেজে উঠছে ভাষা শহিদ স্মারক। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিকে ঘিরে প্রথম স্তর। শহিদ মিনারের বাইরে দ্বিতীয় স্তর। দোয়েল চত্বর-শাহবাগ-নীলক্ষেত-পলাশী-বকশীবাজারে তৃতীয় স্তর এবং এর বাইরে আর এক স্তর, ভাষা দিবসে মোট চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
আসন্ন শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদযাপনকে কেন্দ্রকরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে মূল বেদিতে প্রবেশ করতে হবে। ম্যানুয়ালি ও হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। শহিদ মিনারকে কেন্দ্র করে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে মোট আট হাজার পুলিশ থাকবে। দোয়েল চত্বর থেকে পলাশী পর্যন্ত শহিদ মিনারের পুরো এলাকার প্রতি ইঞ্চি সিসিটিভির আওতায় থাকবে। সিসিটিভিগুলো কন্ট্রোলরুম থেকে সর্বক্ষণ মনিটর করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থাও রাখছে। ডিএমপি কমিশনার আরও জানিয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই শহিদ মিনারের পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। চার পাশে ডিএমপির বেশ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। ৫টি ফুট পেট্রোল টিম থাকবে।
শ্রদ্ধা জানাতে আসার অনুমোদিত রাস্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, কূটনীতিক কোরের সদস্যরা মৎস্যভবন হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে শহিদ মিনারের পথে যাবেন। ভিভিআইপি ছাড়া সবাই শহিদ মিনারে যাবেন পলাশীর মোড় হয়ে। পলাশীর মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে যেতে হবে। তবে ভিভিআইপিরা শহিদ মিনারে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে পর্যন্ত পলাশীর পথ বন্ধ থাকবে। তাঁরা চলে যাওয়ার পর পথ খুলে দেওয়া হবে।
শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর উৎসবে সব পর্যায়ের মানুষ যাতে ঠিকমতো শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। (আনন্দবাজার অবলম্বনে)