1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সংসদ প্রণীত আইন পরীক্ষার ক্ষমতা না থাকলে কোর্ট উঠে যাওয়া উচিত - মুক্তকথা
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংসদ প্রণীত আইন পরীক্ষার ক্ষমতা না থাকলে কোর্ট উঠে যাওয়া উচিত

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১ মে, ২০১৭
  • ১৯১ পড়া হয়েছে

লন্ডন: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রণীত সংবিধানেই জুডিশিয়াল রিভিউর ক্ষমতা একমাত্র সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া হয়েছে। এখন যদি একটি আইন সংবিধান পরিপন্থি হয় তা হলে সেটি অবশ্যই সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের সাড়ে তিনশ সংসদ সদস্যের প্রণীত আইন সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করার ক্ষমতা যদি সুপ্রিম কোর্টের না থাকে, তা হলে তো কোর্টগুলো উঠে যাওয়াই উচিত। কোর্ট তো আছে এগুলো সঠিক কিনা তা দেখার জন্যই? সংবিধানই বিচার বিভাগকে এ ক্ষমতা দিয়েছে। এ কারণেই সংবিধানের ৫ম, ৭ম, ৮ম ও ১৩তম সংশোধনী সংবিধানের মূলস্তম্ভের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভবিষ্যতেও যদি এ ধরনের কোনো আইন হয় এবং তা যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তা হলে তা বাতিলে পিছপা হবে না সুপ্রিম কোর্ট। সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে এখানে কোনো দ্বি-মত নেই। ইত্তেফাক এ খবর দিয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও প্রথম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সংবিধানে আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের কথা বলা হয়েছে। একটি বিভাগ আরেকটি বিভাগের উপর প্রাধান্য বিস্তার না করে একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করবে— এমন বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এটাই হলো সংবিধানের নীতি। এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু পরিপূরক হিসাবে কিভাবে কাজ করবে প্রশ্নটা সেখানেই? তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য ঐকমত্য হলেই কেবল সংবিধান সংশোধন করতে পারেন। শুধু দুই-তৃতীয়াংশ কেন সকল সংসদ সদস্যরা যদি সংবিধানকে স্ক্র্যাপ (বাতিল) করেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যদি দেখে এতে সংবিধানের মূলভিত্তি নষ্ট হয়ে গেছে, আইনের শাসনের প্রতি আঘাত এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জনগণের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে, তা হলে আমরা যতটুকু বেআইনি হয়েছে ততটুকু বাতিল করে দেব।
এসকে সিনহা বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি যদি শুধু টাকা দিয়েই পরিমাপ করা হতো তা হলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই সেই স্বীকৃতি পেত। এই স্বীকৃতি পেতে হলে আইনের শাসন থাকতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকার এবং জনগণকে আইন মেনে চলতে হবে। আমি আইন মানব না, আরেক জনকে বলব তুমি আইন মেনে চল— এটা একতরফা হয়ে যায়। পুলিশকেও আইন মানতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী— যেই হোক যদি আইন অমান্য করেন তা হলে পুলিশের ক্ষমতা রয়েছে জরিমানা করার। আর এই জরিমানার জন্য যদি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তিরষ্কার বা আইজিপির কাছে নালিশ করা হয় বা আদালত অবমাননার রুল জারি করি তা হলে হয়তো দেখা যাবে তার চাকরিই চলে গেছে। কিন্তু এটা আইনের শাসন নয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর নিজে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছেন— এটাই আইনের শাসন। এ জন্য আমাদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কার করতে হবে আইনের।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাকে সেদেশের বিচার ব্যবস্থা ও গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেন। আমাকে বললেন তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সকল অফিসে বেআইনি কাজ বন্ধের উদ্যোগ নেন। সেই চিন্তা-চেতনা থেকেই তিনি গুজরাটে একটি ‘ল ইউনিভার্সিটি’ করলেন। সেখানে ১০০ একর জমি বরাদ্দ দেন। এটা কি বাংলাদেশে চিন্তা করা যায়!
তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে সারাবিশ্বের প্রেসিডেন্ট বলা হয়। তারা আকার-ইঙ্গিতে যা বলেন আমরা অনেক সময় তা করতে বাধ্য হই। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যত ক্ষমতাধরই হোন না কেন অভিবাসী ইস্যুতে তিনি এত হুমকি-ধামকি দিলেন, যে আদেশ জারি করলেন তা কিন্তু স্থগিত করে দিয়েছিলেন সেদেশের একজন বিচারক। এটাই আইনের শাসন। এ জন্য আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আমরা যখন কোনো রায় দেই তাতে অনেক সময় প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। তখন কষ্ট লাগে। এটা কিন্তু সংবিধান না মানারই শামিল। আমরা কোনো মতেই নিজেদের সভ্য হিসাবে দাবি করতে পারব না যতক্ষণ পর্যন্ত সংবিধান ও আইনের শাসন না মেনে চলব। তিনি বলেন, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। এর অভিভাবক সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট যে ব্যাখ্যা দেবে সেটা মানতে হবে। সংবিধানই সুপ্রিম কোর্টকে এ ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে সুপ্রিম কোর্ট সময়ে সময়ে যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে এটা মেনে চলতেই হবে। তখনই আমরা নিজেদের পৃথিবীর বুকে সভ্য দেশ হিসাবে দাবি করতে পারব।
ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রীষ্টিন রিচার্ডসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভুঁইয়া এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস বক্তব্য রাখেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT