মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার নামে সাপের ডিম ও বিষ সংগ্রহ এবং বন্যপ্রাণী পাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে কমলগঞ্জে। জানা গেছে, কতিপয় মার্কিন নাগরিক পর্যটক ভিসায় বাংলাদেশে এসে বন বিভাগ ও সরকারি অনুমতি ছাড়াই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সাপের ডিম ও বিষ সংগ্রহ শুরু করেন। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা গোপনে বন্যপ্রাণী পাচারের কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেট’এর ব্যানারে গত শুক্রবার লাউয়াছড়া উদ্যানের প্রবেশ মুখে তাদের অপকর্মের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়।
গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র নিয়ে গবেষণা করবেন বলে সম্প্রতি দেশীয় কতিপয় গবেষকের সাথে কিছু বিদেশী পর্যটক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করেন। পরে এসব গবেষকরা জাতীয় উদ্যান থেকে সাপের ডিম ও বিষ সংগ্রহসহ বন্যপ্রাণী পাচার করছেন বলেও স্থানীয়ভাবে জোর অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এ অভিযোগে ১৩ জুলাই শুক্রবার আয়োজিত এই মানববন্ধনে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন(বাপা) সিলেট বিভাগীয় সম্পাদক আব্দুল করিমের নেতৃত্বে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
এক ঘন্টা স্থায়ী মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাপা সিলেটের সভাপতি আব্দুল করিম, পরিবেশ সংগঠক নিয়ামুল ইসলাম খান, বাপা সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামির মাহমুদ চৌধুরী, শামছুল হক, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোহাইমিন, ব্যারিষ্টার গোলাম সোবহান চৌধুরী, বাপা হবিগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্বল হোসেন, বাপা মৌলভীবাজারের সমন্বয়কারী আ ছ ম ছালেহ সোহেল, আব্দুল আহাদ, কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমদ আজাদ প্রমুখ।
তাদের অভিযোগ, দেশীয় গবেষক শাহরিযার সিজার, দুইজন মার্কিন গবেষককে পর্যটক পরিচয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করেছিলেন। দুই বিদেশী পর্যটক দেশী গবেষকের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের ডিম সংগ্রহ করেন। অথচ সরকারি আইন অনুযায়ী কোন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে গবেষণার কাজে আসতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়।
মানব বন্ধনকারীদের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তারা সরকারি অনুমতির তোয়াক্কা না করেই অবাদে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরে বনের বন্য প্রাণীর বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। যা দেশের আইন পরিপন্থী। এ বিষয়ে বনবিভাগ কর্তৃক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান পরিবেশবাদী নেতারা।