লণ্ডন।। সমগ্র সিলেট বিভাগের মাঝে এই প্রথম প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। ভুমি ছাড়া স্কুলটির অর্থায়ন হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে। ভুমি দান করেছেন বাহুবল লামাতাশী ইউনিয়নের মোঃ আবুল হোসেন। খবরটি ফেইচবুকে প্রকাশ করেছেন বাহুবল এলাকার এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। উচ্চবিদ্যালয়টির নাম হবে-“বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়”।
এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রয়াত এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড্যেন্ট মাণিক চৌধুরীর সুযোগ্যা কন্যা। প্রয়াত কামাণ্ড্যান্ট মাণিক চৌধুরী সেই ব্যক্তি যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অরক্ষিত মৌলভীবাজারে প্রথম তার সহযাত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রবেশ করেন এবং যুদ্ধ সংগঠনে প্রথমেই খুঁজে পান মৌলভীবাজার ছাত্রলীগের কর্মীদের। প্রয়াত ফরিদ বেগ, সাংবাদিক হারুনূর রশীদ, সৈয়দ নাসির উদ্দীন, দেওয়ান আব্দুল ওহাব চৌধুরী, সুজাউল করিম, প্রয়াত আব্দুল মুকিত, প্রয়াত রানু, প্রয়াত শহীদ, মোমেন, আজিবুর, দিলীপ, আব্দুল মোহিত টুটু তাদের অন্যতম। এদের মাধ্যমে মৌলভীবাজার থেকে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের সংগ্রহ করেন এবং তার সঙ্গের যোদ্ধাগন নিয়ে শেরপুরের প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এ সময় পাকিস্তানী বাহিনী সমশের নগর চৌমুহনার খণ্ডযুদ্ধে জীপগাড়ীসহ ৬জন পাকসেনার মৃত্যুর কারণে ভীত হয়ে মৌলভীবাজার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে পলায়ন করে। এরপর পরই স্বাধীন মৌলভীবাজারে তার সঙ্গীয় আনসার-মোজাহিদ নিয়ে প্রথম পদার্পণ করেন প্রয়াত কামাণ্ড্যান্ট মাণিক চৌধুরী এমপি। সে সময়ের পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মেজর দত্ত ও ক্যাপটেন আজিজ শেরপুর যুদ্ধে মানিক চৌধুরীর পাশাপাশি প্রত্যক্ষ শরিক ছিলেন। এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া তার ফেইচবুকে যা লিখেছেন তা উপরোক্ত ছবিখানায় হুবহু রয়েছে।