মুক্তকথা: ১৭ই জুন ২০১৬ সাল::
বাচাধনেরা একটু শাসিত হয়েছেন বুঝা গেল। এবার আর সাহসে দেয়নি আঘাত করতে। তবে খাসিয়ত তো আর অত সহজে পাল্টানো যায় না। তাই চিঠি পাঠিয়েছেন।
গত বুধবার ১৫ই জুন, ঢাকা(বাংলাদেশ) রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকি দিয়ে ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কোন এক দূরবৃত্ত্ব দল। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য এ ঘটনার পর পরই রামকৃষ্ণ মিশন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
আনন্দবাজার খুব গুরুত্ব দিয়ে এ খবর ছেপেছে। সাথে সাথে ইত্তেফাকও আনন্দবাজারের বরাত দিয়ে আরো বেশী গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি ছাপিয়েছে।
আর এ খবর সাথে সাথেই নাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লী আর কলকাতাকে। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী ততোধিক গুরুত্বদিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আর ওই উদ্বেগের খবরও ছেপেছে আনন্দবাজার।
যদিও কোন খবরেই ওই চিঠির বিষয়ে কোনকিছুই উল্লেখ করা হয়নি। ভাল হতো তাদের কেউ যদি হুবহু চিঠিখানা ছেপে দিতেন। কিন্তু তারা কেউই ওই চিঠিখানার বিষয়ে বিশেষ কিছু বলেনি।
ঢাকায়, ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান স্বামী ধ্রুবেশানন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনারের নামোল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে আনন্দবাজার লিখেছে। যা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে উভয় পত্রিকার প্রবন্ধে বলা হয়েছে।
ঢাকায় ওই হুমকির প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মিশনের ১৪টি কেন্দ্র রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই মিশনের সন্ন্যাসীদের ফোন করে বা চিঠি পাঠিয়ে ‘হত্যার’ হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর ওখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে সকল উদ্বেগ আর সংশয়ের। আনন্দবাজার ওই চিঠিখানার একটি অনুলিপি প্রকাশ করে দিলে আরো ভাল হতো। আধুনিক উন্মুক্তবিশ্বে গোপনীয়তা বলতে তো আর কিছু নেই আর এই মুক্ত তথ্য সরবরাহের যুগে আনন্দবাজারের মত পত্রিকার কোন সমস্যাই ছিল না সেই মূল চিঠিখানার অনুলিপি সংগ্রহ করা।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি’ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। তারা লিখেছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে হামলার নিন্দা জানাতে পশ্চিমবঙ্গে সভা-সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে।