মুক্তকথা সংবাদ।। রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন(বিআরটিসি) ১১০০টি বাস ও ট্রাক খরিদ করেছে ভারত থেকে। এর মধ্যে ৬০০টি বাস ও ৫০০টি ট্রাক। ভারতের সহজ শর্তের ২০০ কোটি ডলার ঋণের আওতায় এই বাস ও ট্রাক আমদানী করা হয়েছে। গণমাধ্যম থেকে যতটুকু জানা গেছে, বাসগুলির মধ্যে ৩০০টি দ্বিতল, ১০০টি নন এসি, ১০০টি এসি সিটি বাস ও ১০০টি এসি দূরপাল্লার বাস। এও জানা গেছে যে, ইতিমধ্যে ৪৭টি বাস ও ২৫টি ট্রাক ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এসব বাস ঢাকার রাস্তায় নামানো হবে বলে জানা গেছে। এ গুলো বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরের টিটিআই টার্মিনালে রাখা হয়েছে। প্রথম চালানে ৪টি এসি সিঙ্গেল ডেক বাস ও ২৫টি ট্রাক এসেছে ভারত থেকে। বেনাপোলে আসা দুটি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বাসের গায়ে লাল ও সবুজ রং করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া— এই পাঁচ জেলায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে দিয়েছে ভারত সরকার। পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিযায় ১১টি জল বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টও কাজ শুরু করেছে। এই সাথে ভারতের ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে সম্প্রসারিত করল দিল্লি।
উল্লেখ্য ভারতের ঋণের টাকায়ই ভারত থেকে বাংলাদেশ এ গাড়ীগুলো ক্রয় করছে।
একই সংবাদের পরের খবর, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জসহ দেশের ৫টি জেলায় ৩৬টি ‘কম্যুনিটি ক্লিনিক’ নির্মাণ করে দিয়েছে ভারত। যদিও তার মাঝ থেকে একটিও মৌলভীবাজারের ভাগ্যে জুটেনি। অথচ ভোটের আগেই মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ হয়ে যাবে এবং প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন এমনটাই জানিয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি। এ মর্মে সাধারণ ভোটারদের কাছে ওই নেতা প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন। এতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নির্বাচনে পাশ করে এখন আর মেডিকেল কলেজের কোন সাড়াশব্দই পাওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রীগন কোন বিশেষ একটি এলাকার দাবীর বিষয়ে ভুলে যেতেই পারেন কারণ তারা সারা দেশের মন্ত্রী। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বতো তা ভুলে গেলে চলে না। মৌলভীবাজারে আমাদের নতুন গড়ে উঠা রাজনৈতিক নেতৃত্ব মেডিকেল কলেজসহ আমাদের জনজীবনের মৌলিক দাবীগুলোর বিষয়ে আরো মনোযোগী ও যত্নবান হবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করতে চাই। সূত্র: সংবাদ মাধ্যম