1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
৫১তম বিজয় দিবস, ষাঢ়ের লড়াই ও অভিবাসী দিবস - মুক্তকথা
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন

৫১তম বিজয় দিবস, ষাঢ়ের লড়াই ও অভিবাসী দিবস

নজরুল ইসলাম, এম এ হামিদ ও শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪৬৭ পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপিত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ৫১তম বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার দিনের প্রথম প্রহরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহেল এর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেন করে উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও প্যারেটেসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালায় অংশগ্রহণ করা হয়।

পরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ক্লাবের সদস্য ও সহযোগী সদস্য, পরিবার ও সন্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও মধ্যভোজে অংশ গ্রহণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সিনিয়র সহসভাপতি মো: কাওছার ইকবাল, দীপঙ্কর ভট্রাচার্য লিটন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত রবিন, এম এ রকিব, অর্থ-সম্পাদক সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, দপ্তর-সম্পাদক এম.মুসলিম চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: মামুদ আহম্মেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্রাচার্য বাপন, কার্যকারী পরিষদের সদস্য মো: আব্দুর রব, সনেট দেব চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মৌলভীবাজারে বিজয় দিবসে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত

এম এ হামিদ, মৌলভীবাজার

ষাড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা মুলতঃ প্রাচীণ বাংলার গ্রামীন সংস্কৃতির এক উৎসব। প্রাচীন বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিনোদনগুলোর মধ্যে ষাঁড়ের লড়াইও একটি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় একে বলা হয় “ডেখার মাইর” বা “বিছাল মাইর”। অনেকটা ঐতিহ্যবাহী এক খেলাও বটে। আগেকার দিনে অনেক ঘটা করে এর আয়োজন করা হতো। কালের বিবর্তনে বহুলাংশে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ এই বিনোদনী সংস্কৃতি। এবারের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার পৌরসভার হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাসে এই ষাড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয় শহরে। যা দেখতে সমবেত হন সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আয়োজকরা বলছেন হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতি ধরে রাখাই তাদের লক্ষ্য। আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন মৌলভীবাজারের কমিশনার মাসুদ আহমদ।

মহান বিজয় দিবসে আমন ধান কাটার পর ক্ষেতের জমিতে চারিদিকে হাজারো মানুষের অপেক্ষা। মাঝখানে বাহারী নামের ষাড়ের উপস্থিতি। অনেকটা হারিয়ে যাওয়া এই গ্রামীণ প্রাচীন সংস্কৃতি অর্থাৎ ‘ষাঢ়ের লড়াই’ অনুষ্ঠান বা বলা যায় প্রতিযোগীতায় যোগ দিতে মৌলভীবাজারসহ আশপাশের জেলা সুনামগনজ, সিলেট, হবিগঞ্জ থেকে ষাড় নিয়ে আসেন মালিকরা। সব মিলিয়ে ২০টি ষাড় অংশ গ্রহন করে এবারের এই প্রতিযোগিতায়। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এমন আয়োজন জানালেন আয়োজকরা।

আয়োজক কমিশনার মাসুদ আহমদ বলেন, প্রথম বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পর দেশ-বিদেশের সকল যখন বলেন, ষাঁড়ের লড়াইটি চালু করতে সে থেকেই তিনি প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করে থাকেন। মূলত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই তিনি এ আয়োজন করে থাকেন, এটা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন এবছর তার ৬টি ষাঁড় লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করেছে। এ থেকে একটি চ্যাম্পিয়ন, একটি ৩য় ও একটি জয়লাভ করেছে। তিনি বলেন এক সপ্তাহ আগে থেকেই এলাকার ঘরে ঘরে পিঠা ও মাংস খাবার মাধ্যমে শুরু হয় ষাঁড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি।
এলাকাবাসী ও আয়োজক কমিটির সদস্য জমসেদ মিয়া বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শক ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসেন। এলাকায় এসময় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। বিজয় দিবসের সাথে এমন আনন্দে শরিক হতে পেরে এলাকাবাসীও খুশি।

মহান বিজয় দিবসের এমন আকর্ষণীয় এই খেলা উপভোগ করেন নানা বয়সী মানুষ।

ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের এই লড়াই দেখতে ভীড় করেন ১৫ হাজারের বেশী দর্শক। দিনব্যাপী এই ষাড়ের লড়াই শেষে বিজয়ী ষাড়ের মালিকদের মোটর সাইকেল ও টিভি পুরস্কার তোলে দেয়া হয়। এবছরের লড়াইয়ে প্রথম ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে মাসুদ কমিশনারের ‘কাটাতাঁর’ ও ‘ভয়ংকর মুদি’। তারা হারায় ‘কালরুপ’-ওসমানিনগর ও ‘স্টিল ফোর বিশ্বনাথ’কে। অপরদিকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে মৌলভীবাজারের কমরু মিয়ার ষাঁড় ‘দেশ পাগলা’, সে ওসমানি নগরের ‘পাগলা ভাই’কে হারায়। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জের ‘নিউকালী’, মাসুদ কশিনারের ‘রেব-২’, ওসমানি নগরের ‘সোনার ময়না’ ও ‘পবন’ জয়লাভ করে।

 

মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে পদযাত্রা ও আলোচনা সভা

 

“থাকবো ভালো, রাখবো ভালো দেশ বৈধপথে প্রবাসী আয়ে-গড়বো দেশ”এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে পদযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল(১৬ ডিসেম্বর) রোববার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহযোগিতায় আলোচনা সভা এবং প্রবাসীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক মোশারফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ জাহিদ আকতার, মো: মোশারফ হোসেন, প্রবাসী রাকিব আহমদ, ব্যাংক কর্মকর্তা মো: আবু তাহের, মিজানুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রবাসীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বক্তরা, প্রবাসীদের কষ্টাজিত অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে আনয়ন করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজে লাগানোর তাগিদ অনুভবের কথা উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে জেলা প্রশাসন ও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উদ্যোগে বর্নাঢ্য পদযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

 

 

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT