চা বাগান ও হাওর পারের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের গর্ভবর্তী মায়েদের মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের এই গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ ইসমাত জাহান।
চিকিৎসাকাজে তার এই অসামান্য সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসমাত জাহান বলেন, তিনি মৌলভীবাজারেই প্রায় ১০ হাজার মায়ের স্বাভাবিক প্রসব(নরমাল ডেলিবারী) করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ চা বাগান ও হাওর পারের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের মা বলেই তিনি জানান।
তার কাছ থেকেই আরো জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করার পর এপর্যন্ত তার আন্তরিকতায় সরকারী এবং প্রাইভেট হাসপাতাল মিলে প্রায় ১০ হাজার স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারী) হয়েছে। এর মধ্যে বেশীরভাগ চা শ্রমিক জনগোষ্টি ও হাওর পারের দরিদ্র পরিবারের মা’রা রয়েছেন।
পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ডাঃ ইসমাত বলেন, একজন মায়ের পূর্বে দুইটা সিজার হয়েছে কিন্তু চলতি মাসে চেষ্টা করে স্বাভাবিক প্রসব করাতে সক্ষম হয়েছি। একই অবস্থা ছিল আরেক মায়ের তার পূর্বে ১টা সিজার হয়েছে কিন্তু আমি চেষ্টা করে চলতি মাসেই স্বাভাবিক প্রসব করিয়ে নিতে পেরেছি। এতে উভয় পরিবারের সদস্যরা অনেক খুশি হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, আমরা প্রতিদিন অনেক গাইনী চিকিৎসকের সাথে প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু ডাঃ ইসমাত জাহানের মতো আন্তরিক ও বিনয়ী চিকিৎসক কম পেয়েছি। তিনি সর্বদা স্বাভাবিক প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। বিশেষ করে গরীব রোগীদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দেন তিনি।
ডাঃ ইসমাত জাহান আরো বলেন, আমার নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমি এই স্বাভাবিক প্রসব করানোর চেষ্টা করি। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, আমাদের হাসপাতালের ডাঃ ইসমাত জাহান সহ সকল গাইনী চিকিৎসকরা দায়িত্বের প্রতি আন্তরিক। অবশ্য ডাঃ ইসমাত জাহান ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করেন।