মুক্তকথা:২৩শে জুন ২০১৬:৪.৩৫::
আজ ছিল ২৩শে জুন। ২৫৯ বছর আগে এই দিনে একটি জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল এই বৃটিশদের হাতে। ঐতিহাসিকভাবে নির্ধারিত হয়েছিল তাদের নিজেদেরও। আর আজ শত শত বছর পর তারাই আবার নতুনকরে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক গণভোটের মাধ্যমে। ভোটের জন্য এই ২৩শে জুনকে সাব্যস্ত করার পেছনে কোন ধরনের ঐতিহাসিক আবেগ বা গণনাবিদ্যার মনন জগতের ভাব কাজ করেছে কি-না আমাদের জানা নেই। জানা নেই নির্দিষ্ট এই তারিখটির রাজনৈতিক বা সামরিক কৌশলগত কোন দিক আছে না। কাকতালীয়ভাবে হলেও ওই ২৩জুনই নতুন করে ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে বৃটেনের। সময় কি ঠিকই গোপনে গোপনে পুনঃ পুনঃ আবির্ভুত হয় মানুষকে সভ্যতার নবতরস্তরে উতরে দিতে! হয়তো হয়।
১৭৫৭ সালের সে দিন ছিল এক মর্মন্তোদ বিষাদের কাহিনীতে ঘেরা। পলাশী, সেই রাক্ষুসে পলাশী। বিষয়টি আমাদের সকলের অগোচরে ঘটে গেলো। অথচ আমরা অনেকেই খেয়াল করিনি। অবশ্য ওই বিষয়ের কাজী না হলে স্মরণে থাকার কথা নয়। ফেইচবুক দেখতে গিয়ে শ্রদ্ধেয় মোয়াজ্জেম ভাইয়ের একটি ‘পোষ্টিং’ বিষয়টি নজরে নিয়ে এলো। আজ ছিল ২৩শে জুন, পলাশীর সেই
আম্রকাননে এই ইংরেজবাহিনী বাংলা জয় করে নিয়েছিল। যা পরবর্তীতে গোটা ভারত জয়ের রাস্তা তৈরী করেছিল। ২৫৯ বছর পর প্রাণনাশী সেই যুদ্ধের পথ পরিহার করে এই ইংলিশরাই আজ ভোট দিয়েছে একটি ইউনিয়নে থাকবে কি-না প্রশ্নে; যা নির্ধারণ করবে পরবর্তী শত বর্ষের দিনগুলিকে।
ঐতিহাসিক সেই গণভোট হয়ে গেলো আজ। ফলাফল পেতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই শুনেছি। বিবিস’র খবর থেকে বুঝা যাচ্ছে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। এখন সবাই দেখছে কে হারে কে জিতে অবস্থা! এই মূহুর্ত পর্যন্ত যে ফলাফল বিবিসি থেকে পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়নে থাকার পক্ষ এখনও পেছনে আছে। এখনও ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার পক্ষে ভোট বেশী। তবে লক্ষ লক্ষ ভোটের এখনও গননা চলছে। যা-ই হোক, রাত পোহালেই শুক্রবার। ফলাফল পাওয়া যাবে। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার অর্থই হলো দেশের ভবিষ্যত নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। এখন সেই ভবিষ্যতটি কি তা-ই জানার অপেক্ষা মাত্র।
এখন লন্ডন রাত ৫.১৫ পর্যন্ত বিবিসি থেকে পাওয়া ভোটের হিসাবে প্রায় ৯লক্ষ ভোটের ব্যবধানে ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পক্ষ এগিয়ে আছে।