হারুনূর রশীদ: শনিবার ২রা জুলাই ২০১৬:
যত মানুষ ততই আনন্দ। ততই উতসব। ভিন্ন ভিন্ন মত, ভিন্ন ভিন্ন পথ। কেউ যদি খায় সুরা তো অন্যজন দেখায় মোড়া। কেউ যদি ধরে গান তো অন্য প্রান্তে তুলে তান। এসব নিয়ে ঝগড়া মারামারি এমনকি খুনোখুনিও চলছে নিরন্তর। এর পরেও মানুষ ছাড়া কোন আনন্দই আনন্দ নয়।
মানুষইতো দুনিয়াকে দেখভাল করবে, দুনিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একেবারে সৃষ্টির কাছে। মানুষ ছাড়া মানুষের এই লিখাপড়া, গবেষণা আর আবিষ্কারের মূল্য আর কে দেবে? বনের পশু! না, তা কি করে হয়। তাই সবচেয়ে আগে প্রয়োজন মানুষের।
দুনিয়ায় মানুষ বেড়েই চলেছে। মানুষের এই বার-বাড়ন্তির ফলে এর সাথে পাল্লা দিয়ে সবকিছুরই চাহিদা খুবই সংগত কারণে বেড়েই চলেছে। চাহিদা বেড়েছে কিন্তু পূরণ করা যাচ্ছে না এরই আরেক নাম গরিবী। তাইতো মানুষ যতই বাড়ছে মানুষের গরিবীও তত বাড়ছে। এই গরিবী যেমন সমূলে আটকানো যায় না তেমনি মানুষের বাড়ন্তিও কমানো যাবে না কোন পথেই। তাইতো, আজকাল দুনিয়াব্যাপী মানুষের আবাসন সমস্যা একটি বিশ্ব সমস্যা হয়ে উঠেছে। দুনিয়ার অতি উন্নত দেশেও আজকাল গৃহায়ন একটি বড় সমস্যা। এই বেড়ে যা্ওয়া চাহিদা পূরণের তাগিদে দুনিয়ার দেশে দেশে কত নমুনায় যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে তা একদিকে যেমন ব্যয়সাধ্য অন্যভাবে নান্দনিকতায় ভরপুর বলই উপভোগ্যও বটে। চলুন দেখি সেরূপই এক প্রদর্শনী।
আকাশে উড়ন্ত বিমানকে জড়আবাসনে রূপান্তরের পরিণতিতে রূপসৌন্দর্য্যের নান্দনিকতায় কেমন দাঁড়াতে পারে নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। অব্যবহৃত বিমানকে পরিবর্তিত করে বাসযোগ্য আবাসন হিসেবে রূপান্তরীত করা এখন কোন জঠিল বিষয় নয়। নয় নতুন কিছু। বহুদেশে বহুদিন ধরেই তা চলে আসছে। বহুদেশে এ ধরণের বিমানকে রূপান্তরীত করে অত্যাধুনিক আবাসন বানানো হয়েছে। তবে “কেএলএম”এর সহযোগীতায় “এয়ারবিএনবি”র নবতর চিন্তা সত্যিই অতূলনীয় নান্দনিক। গত ১লা জুলাই এমএনএস এমন চকচকে একটি সচিত্র খবর পরিবেশন করেছে। নিচে আমাদের পাঠকদের জন্য তাই তুলে ধরা হল।
ছবি এমএসএন
ছবিতেই দেখুন সে কি রকম। উপরের ছবিটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটি একটি বিমানের শরীর। ওকে রূপান্তরীত করে কি বাহারি আবাস তৈরী করা হয়েছে একনজর দেখুন। এটি রূপান্তরিত বিমান ঘরের ভেতর।
একবার দেখুন কি করে একটি বিমানের ভেতর সাজানো হয়েছে। ছবিটি উপরের বিমান আবাসনের ভিতরের দৃশ্য। কিইনা নান্দনিক করা হয়েছে ভেতরের কামরাগুলিকে সাজিয়ে। উপরের ছবিখানা তেমনি একট কামড়াও বটে।