ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও দু’দিনের টানা বর্ষনে উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল ও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শাক-সবজিসহ কৃষির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও নদীর আরো ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায, কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকার পানিসাইল, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, নারায়নপুর, শমশেরনগর এর রঘুনাথপুর, পতনঊষারের নোয়াগাঁও গ্রামসহ আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামসহ নি¤œাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আউশ ক্ষেত, শাক-সবজিসহ কৃষিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার বিকালে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা পর্যন্ত ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে নি¤œাঞ্চলে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ধরাই নদীর পারি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর এলাকায় ধলাই নদীর সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পানিশালা এলাকার বসতবাড়ি, ডাবাংলো, কমলগঞ্জ মডেল সরবারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চলের ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
পৌর এলাকার বাঁধবাসী সাদিকুর রহমান, রহিমা খাতুনসহ কয়েকজন বাঁধবাসী বলেন, ধলাই নদী থেকে ড্রেন দিয়ে পানি বেরিয়ে আমাদের দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা এখন পানিবন্দী হয়ে আছি।
পতনঊষারের কৃষক সামছুদ্দীন, আকতার মিয়া, জলিল মিয়া বলেন, ঢল ও বন্যার পানিতে আমাদের আউশ ক্ষেত, পেঁপে, বেগুনসহ শাক-সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলো সম্পুর্ন বিনষ্ট হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর সহকারী প্রকৌশলী সাকিব আহমেদ ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, একটি স্থানে ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। তাছাড়া ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলি সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হচ্ছে।