লন্ডন: মঙ্গলবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। মসজিদের সামনেই বেতের পর বেত মারা হল এক মহিলাকে। গেল সোমবারের ঘটনা। মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার আশেহা প্রদেশে। ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র এই প্রদেশেই ধর্মের নামে শরিয়তি আইনের অবাধ দৌরাত্ম চলে আসছে!
শরিয়তি আইনে মসজিদের স্থান মানুষেরও উপরে। যেনো মানুষের জন্য মসজিদ নয় বরং মসজিদের জন্য মানুষ! এই মসজিদের সামনে আনন্দোল্লাস, হই হল্লা করা নিষেধ। আশেহা প্রদেশের রাজধানী বান্দা আশেহার একটি মসজিদের সামনে একটু অধিক মাত্রায় আনন্দোল্লাস করেছিলেন একদল মানুষ আর তাঁদের সামনের সারিতে ছিলেন দুই মহিলা সহ পাঁচ জন। এমনি এক অভিযোগে ওই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করা হয়। তার পরেই প্রকাশ্যে শুরু হয় তাঁদের ওপর বর্বর বেত্রাঘাত। যদিও ওই এলাকার শরিয়তি আইনে এত দিন প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের বিধান ছিল জুয়ো খেলা, পানাসক্তি আর সমলিঙ্গে যৌনতা রোধের জন্য।
অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীর কথা বলে ভারতের আনন্দবাজার এক মহিলার ছবিসহ লিখেছে-“অবশ্য, ওই মহিলাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের জন্য সরকারি ভাবে মসজিদের সামনে আনন্দোল্লাসের অজুহাত দেখানো হলেও, আদত কারণটা অন্য। ৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলার নাকি বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল এক জনের সঙ্গে। শরিয়াতি সমাজ তাকে মান্যতা দেয়নি। তাই তাঁকে প্রকাশ্যে ওই ভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। যাঁর সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল, তাঁকেও প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। দু’জনের জন্যই নাকি বরাদ্দ হয়েছিল চাবুকের সাতটি করে ঘা।
এর আগে প্রাক-বিবাহ সম্পর্কের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রছাত্রীকেও প্রকাশ্যে ১০০ ঘা করে চাবুক মারা হয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।”