দাপ্তরিক গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধে মায়ানমারের সামরিক সরকার কর্তৃক রয়টার সংবাদ সংস্থার ২জন সাংবাদিককে আটক করে রাখার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ভিত্তিক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক নজরদারী সংগঠন ‘ফ্রিডম হাউস’এক বিবৃতি দিয়েছে।
৫ই জানুয়ারী সংগঠনের সভাপতি মাইকেল জে আব্রামোইচ স্বাক্ষরিত উক্ত বিবৃতিতে বলা হয় যে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা গণতন্ত্রেরই একটি শক্তিশালী খুঁটী। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের উপর মায়ানমার সরকারের হুমড়ি খেয়ে পড়ার অর্থই হলো, সরকার দেশটির গণতন্ত্রায়নকে খাটো করে দেখছে। সরকারের উচিৎ অবিলম্বে সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সয়েও কে মুক্ত করে দেয়া।
“সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সয়েও এ দু’জন সাংবাদিককে আটকে রেখে তাদের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের সংকট নিয়ে সংবাদ পাঠানোর কারণে আইনানুগভাবে দায়ী করে মারাত্মক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি মূলতঃ মায়ানমারের সকল সাংবাদিকের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে খবর সংগ্রহ ও পাঠানোর প্রতি হুমকি স্বরূপ।” উল্লেখ করে মিঃ জে আব্রামোইচ আরো বলেন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের খবর দেয়া, একজন সাংবাদিকের অধিকার ও নৈতিক দায়ীত্ব। সাংবাদিকের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশের জন্য পাঠানো যে একটি নৈতিক দায়ীত্ব সে অধিকার ও দায়ীত্বকে সমুন্নত রাখাও একজন সাংবাদিকের দায়ীত্ব অবশ্যই। সাংবাদিক একটি সংবাদ সংগ্রহ করবে এবং এর উপর সংবাদ তৈরী করে প্রকাশের জন্য পাঠাবে। বিষয়টিকে মায়ানমার সরকার মনে করে অপরাধমূলক। তিনি সাংবাদিকদের আশু মুক্তি চেয়েছেন।