লণ্ডন: বৃটেনের ক্ষমতাসীন রক্ষনশীল সরকার প্রতি নিয়তই পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনছে। সরকারের পুলিশের সংখ্যা কমানোর বিষয়টি প্রয়োজনের চেয়ে রাজনৈতিক হিসেব মিলানোর বিষয় বলেই শ্রমিকদল মনে করছে। যেসব এলাকায় শ্রমিকদল সমর্থিত স্থানীয় সরকার কাজ করছে সেসব এলাকায় পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকার যত্নবান বেশী। বিষয়টি অনেকটা একদা বহুল ব্যবহৃত ‘তৃতীয় বিশ্ব’ বলে খ্যাত অনুন্নত দেশগুলির নিম্নমানের রাজনীতির শামিল বলেই মনে করছে সাধারন মানুষ। কোন ভাবেই পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনার সরকারী এ প্রবণতা সমর্থনযোগ্য নয়। জানা যায়, এ পর্যন্ত রক্ষনশীল দলীয় সরকার ২১ হাজার পুলিশ কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়েছে। বিগত ২০১০সাল থেকে অদ্যাবদি রক্ষনশীল সরকার নগর পুলিশের(মেট্রোপলিটান পুলিশ) খরচা হিসেব (বাজেট) থেকে মোট ৭০০মিলিয়ন পাউন্ড কমিয়েছে। শুধু তাই নয় শ্রমিক দলের এক প্রচারে জানা যায় এ পর্যন্ত ২৪৯৫টি নগর পুলিশের পদ খালি করেছে অর্থাৎ বাদ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ৩২৬১টি পুলিশের কম্যুনিটি সহায়ক কর্মী সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এর ফলে অত্যন্ত যুক্তিসংগতকারণেই অপরাধ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অপরাধীরা পুলিশের এ অপ্রতুলতাকে খুবই পছন্দসইভাবে কাজে লাগচ্ছে। চলতি দশকে নগর লণ্ডনে রি রি করে বেড়ে উঠেছে অপরাধ। জানা যায়, কেবলমাত্র গত বছরই আনুমানিক ৬.১মিলিয়ন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে ইংল্যাণ্ড ও ওয়েলস-এ। ভয়ঙ্কর হৃদকাপানো এসব অপরাধের মধ্যে হত্যা এবং চাকু ও বন্দুকের ব্যবহার মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আশার কথা, জানাগেছে যে লণ্ডনের মেয়র সাদিক খান, নগর লণ্ডনের অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিবছর বাড়তি ৬০মিলিয়ন পাউণ্ড খরচ করে একহাজার নতুন পুলিশ নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন।