এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি বিষয় নিয়ে অনেকেই খুব বেশী বেশী করে আলাপ করেছেন এবং এখনও করছেন। খুবই সংক্ষেপে বিষয়টি হলো খেলোয়াড়দের গতি নিয়ে। বহুজনেরই মত, এবারের খেলায় যে দল যত বেশী তীব্রতা নিয়ে খেলতে পেরেছে সে দলই ইতিবাচক ফল দেখাতে পেরেছে। তীব্র দ্রুত গতি সম্পন্ন খেলোয়াড় যে দলে বেশী সে দলই বিজয়ের মুখ দেখেছে। তবে ফুটবল নিয়ে সবসময়ই নানা মুণির নানা মত শুনেই আসছি। আর গতির প্রয়োজন সবকিছুতেই। গতিহীন কোন কিছুই আশা সঞ্চারক হতে পারে না। সবচেয়ে আলোচনার বিষয় জার্মানী, স্পেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বিষয়ে। বিগত ৩০ বছরের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সেরা এই দলগুলিকে কেনো এমন মুখ থুবড়ে পড়তে হলো? অনেকেই বলেন ফুটবল নিয়ে আগাম কিছু কোন সময়ই বলা যায় না।
বেলজিয়াম তেমনি আশা ভঙ্গ করেছে। আজকের চূড়ান্তপূর্ব(সেমিফাইনালে) খেলায় বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের গতি ছিল স্লথ। ফরাসীদের সাথে তারা যেনো হাফিয়ে উঠছিলেন। অথচ আগের খেলাগুলোতে বেলজিয়ামের খেলায় গতি ছিল। মাঠে তাদেরকে বিরামহীন দেখা গিয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার রাতের এই সেমিফাইনালে ১-০গোলে বেলজিয়ামকে পরাজিত করে ফরাসীরা চূড়ান্ত(ফাইনাল) খেলায় উঠে গেলো। খেলায় সবেধন নীলমণি গোলটি করেছেন স্যামুয়েল ওমতিতে। একটি কোনের মার(কর্নার কিক) থেকে বল পেয়ে মাথা দিয়ে মার দিয়ে(হেড করে) গোল করেন ওমতিতে। যা ফ্রান্সের বিজয় নিয়ে আসে। এ সময় ফ্রান্স দল খেলায় তাদের গতি বাড়ায়। অবশ্য চূড়ান্ত(ফাইনাল) খেলায় অংশ নেয়া এই প্রথম নয় ফ্রান্সের। এর আগে আরো দু’বার তারা ফাইনেল খেলা খেলেছে। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স চূড়ান্ত খেলায়(ফাইনাল) বিজয়ী হয়েছিল। খেলার প্রথমার্ধ পর্যন্ত উভয় দলই গোলশূণ্য ছিল। শেষ কথা, অনেকেই ভাবছেন এবার মনে হয় ইংল্যাণ্ডের ভাগ্যেই রয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ের মালা।