1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ব্রয়লার মোরগ খাওয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ১কোটি মানুষ মারা যাবে! - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

ব্রয়লার মোরগ খাওয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ১কোটি মানুষ মারা যাবে!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১৫০১ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ব্রয়লার মোরগ এখন বাংলাদেশের সবক’টি ছোট-বড় বাজারেই পাওয়া যায়। দেশের অনেক মানুষই কমবেশি এই ব্রয়লার মোরগ বা মুরগী পছন্দ করেন। চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু খুবই মারাত্মক কিছু তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায়। গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে ভাইরালবিডি.কম লিখেছে-“ওই রিপোর্টে আরো পূর্বাভাস দেওয়া হয় যে ২০৫০ সালের মধ্যে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে বিশ্বে ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং বছরে ১কোটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। শেষ হবে সম্পদ আর দেশ হারাবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা।”
ভাইরাল আরো লিখেছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ব্রয়লার মুরগী খেলে এবং শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার দানা বাঁধে। আর সেই সাথে আরো ভয়ানক বিষয় হলো যে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে আর কাজ করবে না। এ ধরনের ভীতিদায়ক তথ্য উঠে এসেছে একাধিক গবেষণায়।
ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় এটাই দেখা যায়! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নিট মাংস! দুই কেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছয়শো গ্রাম! রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন। হু হু করে বাড়ছে ওজন। চড়চড় করে বড় হচ্ছে মুরগি।
এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ কিন্তু সেটা কি আমরা জানি?
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে আমাদের শরীরে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, কোন ক্ষত হওয়ার ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে। এতে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক কুপ্রভাব পড়বে। এমনকি মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু কি তাই। খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ব্রয়লার মোরগ বা মুরগী খেলে। একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়লার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে যা কোনভাবেই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।
এক গবেষণা রিপোর্টে জানা যায়, প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়ায় একটি গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে মানবসভ্যতা। যা বছরে ৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। গার্ডিয়ানের গবেষণাধর্মী ওই রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয় যে ২০৫০ সালের মধ্যে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে বিশ্বে ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং বছরে ১ কোটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে।
পরামর্শস্বরূপ ভাইরালবিডি.কম লিখেছে, বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই বাকি খাবার বা সবজির সঙ্গে রাখা ঠিক নয়। আরও, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটা হবে তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটা ঠিক হবেনা। আর যে প্লেটে কাঁচা মাংসটা রাখা হবে তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই অন্য কাজে লাগাতে হবে। কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ নিয়ম মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম থাকে। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে।
তবে দেশি মুরগিতে এমন কিছু ক্ষতিকারক জিনিস পাওয়া যায়নি। কারণ দেশি মুরগি একেবারে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড় হয়। ফলে ব্রয়লার মুরগির মতো তাদের শরীরে কোনও কেমিকেলের উপস্থিতি যেমন পরিলক্ষিত হয় না। তেমনি দেশি মুরগি অনেকাংশেই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। ফলে তা থেকে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সংবাদ সূত্র: ভাইরালবিডি.কম

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT