মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। আজ রোববার ২রা জুন ২০১৯। দক্ষিন আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের ১দিনের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খেলা ছিল। এমনিতেই লন্ডনের ওভাল ক্রিকেট মাঠ খেলার সময়ে লোকে লোকারণ্য থাকে। কিন্তু আজকের খেলায় কেনো জানি মানুষ মানুষে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল পুরো ওভাল মাঠ। হরহামেশাই ফুটবল আর ক্রিকেট এ দু’খেলাতে বৃটেনবাসী উত্তেজনায় উদ্বেল হয়ে উঠে। এটি নতুন কিছু নয় বৃটেনের জন্য। বিগত শত বছরের ক্রিড়া চর্চ্চায় দেশটি এমনভাবেই গড়ে উঠেছে। ক্রিকেট আর ফুটবল এ দেশের যেমন বিনোদনের প্রধান ক্ষেত্র তেমনি জাতীয়ভাবে এ খেলা দু’টি বৃটেনের আয়ের এক বিশাল উৎস।
প্রকৃতির নিয়মে এদেশেও বসন্ত ও গ্রীষ্ম পাশাপাশি চলে। ঋতু চক্রের এ দু’টো ঋতুই বৃটেনবাসীর ভ্রমণ, আনন্দ-বিনোদন আর ব্যবসার প্রধান মাস। দেশের নতুন নতুন সব আবিষ্কার-উদ্ভাবনী নিয়ে সারা বছর কাজ করার পর সকলেই উৎসুক হয়ে থাকে নতুনের আগমনকে অবলোকন করতে। একটু আলতোভাবে হাত বুলিয়ে দেখতে। সুতরাং খেলার মাঠতো মানুষে মানুষে ভরে উঠবেই। রাস্তায় যেমন তিল ধারনের ঠাই ছিল না তেমনি মাঠও ছিল মানুষে মানুষে একাকার।
কথায় আছে না, সাত-ই বলে দেয় সাতাশের খবর। ঠিক তেমনি সেই ঋষি কথার মত খেলার শুরুতেই তামিমের ৪ রানের বাউন্ডারী মার সেরকমের কিছুটা আভাস দিয়েছিল। তামিমের রান জয়, শতকরা হার উঠে ৬.২৪এ। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঘা বলমারুয়া তাহিরের বলে মুশফিকও ৪ রানের বল পিটান। এ সময় ৩০ ওভারে বাংলাদেশের রানের পরিমান দাঁড়ায় ১৯০। সাকিব-মুশফিক ৩১ ওভার পর্যন্ত খেলেন। বিদায়ের আগমূহুর্তে ৩১ ওভারের ৫ম বলে আরেকটি ৪ দৌড়ের মার দেন সাকিব আল হাসান। এ সময়ও বল করেছিলেন দক্ষিন আফ্রিকার তাহির।
এ সময় বাংলাদেশের রানের সংখ্যা দাড়িয়েছিল ২০০। দক্ষিন আফ্রিকার আরেক বল নিক্ষেপকারী রাবাদা’র বলে মুশফিক ৪ রান নিয়ে নেন। সেটি ছিল ৩৩ ওভারের ২য় বল। দঃ আফ্রিঃ তাহিরের বলে ৩৫ ওভারের সময় সাকিব ধরা পড়েন। তখন তার ব্যক্তিগত রান হয় ৭৫ এবং বাংলাদেশের রান ছিল ২১৭। পরবর্তীতে মিথুন, তামিম, মাহমুদোল্লাহ, সৌম্য খুবই ভাল খেলেছেন। মিথুন তো মার্করামের বলে ৬ রানের মার দেন। এ সময় ৩৭ বল চলছিল।
দুর্দান্ত নাম-ডাক থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা এ দফায় বাংলাদেশের সাথে ৫০ ওভারের খেলায় ভবিষ্যৎ সামলাতে পারেনি। দুসেনকে বলমেরে মাঠের বাইরে পাঠান এবং পেলুকায়োকে সাকিবের লুভে নেয়ার শিকারে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনের জোড়া আঘাতের ঠেলা সামলানোর আগেই মুস্তাফিজ পরপর দুই উইকেট নামিয়ে দেন। মুস্তাফিজের বল, ক্রিস মরিসকেও সৌম্যর লুফে নেয়ার শিকারে পরিণত করে। দঃআফ্রিকার ২৮৭ রানের সময় মুস্তাফিজের বলে জেপি ডুমেনিকে মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয়। এসময়ই সকলের কাছে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হয়ে উঠে। ২১ রানের ব্যবধানে তাদের পরাজয় বরণ করে নিতে হয়।