মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৮ রান করে নেয়া ভারতের জন্য খুব বিশাল ঝুঁকি ছিল বলে কেউই বলেননি। বরং বহু দর্শকই ধরে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড হেরে যাবে। কিন্তু সকলের মুখে ছাই দিয়ে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৩১ রানে হেরে গেলো ভারত। ভারত জিতলে সুবিধা হতো দুই পড়শি দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। হাতে যখন পাঁচ উইকেট, মাহেন্দ্র সিং ধোনি তখনও অপরাজিত সাথে খ্যাতিমান ব্যাটচালক কেদার যাদব। এই অবস্থায় অবিশ্বাস্য হলেও পুরো ইনিংসে মাত্র একটি ছয় মেরেছেন ধোনি। কেমন যেনো একটু ঘোলাটে রহস্যময় মনে হয়। ধোনি ছক্কা মারলেন ৪৯তম ওভারে। এর আগে তাকে ছক্কা মারার কোন তদবির করতেও দেখা যায়নি। অবশ্য শেষ পাঁচ ওভারে ৪টি বাউন্ডারী হয়েছে কিন্তু সেও যথেষ্ট ছিলনা।
গতকাল রোববার ৩০শে জুন বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত ভারত-ইংল্যান্ডের খেলার দিকে খুব আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ভারত ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলে এ ৩দেশের যেকোন একটি সেমিফাইনাল খেলতে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু মনে হয় অনেকটা পাতানো খেলায় ভারত ইচ্ছে করেই কোন জবরদস্ত প্রতিযোগীতায় না গিয়ে খুব ধীরলয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দিয়েছে। খেলার শুরু থেকে সিকি সময় যাবার পর আমার কাছে বসা প্রায় সকল দর্শকই এরকম মনোভাব পোষণ করছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছে ধোনিদের বিরুদ্ধে। অনেকেই এ খেলাকে একটি পাতানো খেলা বলে মন্তব্য করেছেন মাঠেই। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসির হুসেইনের উদৃতি দিয়ে একটি প্রভাবশালী বাংলা অনলাইন লিখেছে-“আমি হতভম্ব। এখানে কি ঘটছে তা ব্যাখ্যার অতীত।”
গতকালের এই খেলা বিজয়ে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠে গেলো। ইংল্যান্ড অবশ্য খেলেছে খুবই ভাল। শ্রীলঙ্কা গত খেলায়ই হেরে গিয়ে মাঠ থেকেই বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য এ অবস্থা মোকাবেলা করা বেশ কঠিনই হবে। বাংলাদেশকে এখন দুইটি ম্যাচ জিততে হবে।