লিখেছেন-
সৈয়দ ছায়েদ আহমদ।।
দেশের চা শিল্প দেড়শ’ বছর পার করতে যাচ্ছে, কিন্তু এই দেড়শ বছরেও চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী দেড়শ’ টাকা হয়নি। উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান- সব ক্ষেত্রে চা শ্রমিকরা বঞ্চিত। চা বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত সরকারী স্কুল নেই, স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই, ঠিকমত খাবার পায় না, অথচ এই চা শ্রমিকদের শ্রমে ঘামে দেশের চা শিল্প আজ এতদূর এগিয়ে গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আয়োজনে অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে চা শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’-শীর্ষক সভায় জুড়ী চা ভ্যালির সহ সভাপতি ও চা নারী নেত্রী শ্রীমতি বাউরী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক জনাব মো. মাহবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব এ কে এম মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা ফোরকান আহসান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরিসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
চা শ্রমিক সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে উক্ত সভায় বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন চা ভ্যালি থেকে আসা চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা অংশ নেয়। শ্রীমতি বাউরি আরো বলেন, ‘এখনও চা বাগানগুলোতে বাবু সাহেবদের দ্বারা নারী শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সামাজিক পরিস্থিতি আর জীবিকার তাগিদে মুখ ফুটে তাঁরা প্রতিবাদ করতে পারে না’ এমন অভিযোগ করে শ্রীমতি বাউরি এর প্রতিকার চান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধ এবং নারী শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীগণকে এগিয়ে আসতে হবে। আর নারীর প্রতি সহিংসতা বজায় থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হবে না। বর্তমান সরকার শ্রমবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সচিব বলেন, নারীরা এখন দেশের বড় বড় জায়গা থেকে দেশে অবদান রাখছেন। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যেকোন ধরনের অশোভন আচরণ রোধে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।
মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে পেঁয়াজের পাইকারী ও খুচরা বাজার পর্যবেক্ষণ করেছে থানার পুলিশ প্রশাসন। সোমবার(১৮ নভেম্বর) দুপুরে শহরের পাইকারী মার্কেট সেন্ট্রাল সড়ক পোস্ট অফিস সড়ক ও খুচরা বিক্রেতা নতুন বাজার ঘুরে দেখা হয়েছে। এসময় মদিনা স্টোর, মদিনা ভান্ডার, জননী স্টোর ও আক্তার স্টোরে পেয়াজের বর্তমান মূল্য যাচাই করা হয় এবং গোদামে পেঁয়াজ মজুদ করা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়।
বিক্রেতারা জানান, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৫০ ও তুরস্কের পেঁয়াজ ১২০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
বাজার মনিটরিংয়ে ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ) সার্কেল মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুস ছালেক, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ এস এম ইয়াইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বলেন বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বাজারে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এখানে ব্যবসায়ী অধিক মুনাফায় পেয়াজ বিক্রি করছেন না। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁঁয়াজের কোনো মজুদ নেই।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান জানান, পেয়াজের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে তাই বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান কে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হাবিবুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২ নভেম্বর শনিবার ওই কমিটি গঠন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি দেওয়ায় আবুল খায়ের টৌধুরী।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জাহাঙ্গীর, চন্ডী প্রসার রায়, আব্দুল হাকিম, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মো: লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সোবহান, কোষাধ্যক্ষ আলা আশ্রাব, প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো: আসলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ্রী পরাগ বারই, গবেষনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শ্রী তুষার ঘোষ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফুরকান উদ্দীন, কল্যাণ সম্পাদক ছুলিম উল্লাহ্, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা বেগম (মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী), যুব বিষয় সম্পাদক বিকাশ ঘোয়ালা (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান), নির্বাহী সদস্য হাজী আছাদ্দর আলী, আব্দুল কাদির শানু, প্রমোদ রঞ্জন দেবনাথ শফিকুর রহমান (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান), নাইয়র মিয়া (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান), মো: বেল্লাল (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান), পরিমল দাস ও আব্দুল সোবহান (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি দেওয়ায় আবুল খায়ের টৌধুরী স্বাক্ষরিত সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটি কে অনুমোদন প্রদান করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শনিবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল, সাধারন সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক, মৌলভীবাজার জেলা সরকারী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, উপজেলা ক্রীড়া সংস্হার সাধারন সম্পাদক মিলন দাস গুপ্ত, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ইকরামুর রহমান রানা প্রমুখ। এছাড়াও সভায় প্রত্যাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তুতি সভায় বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নামকরা ফুটবল দলগুলোকে আমন্ত্রন জানানো হবে।
এতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ উপলক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল শহরকে বর্ণিল সাজে সাজানো হবে। প্রকাশিত হবে একটি সুভ্যেনিয়র। ‘থিম সং’ ও থাকবে। উদ্ধোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘গ্র্যান্ড ডিসপ্লে’ করা হবে। আয়োজন করা হবে কালচারাল অনুষ্ঠানের। বঙ্গবন্ধু’র জীবন ও কর্ম নিয়ে বিভিন্ন কর্মসুচি থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশসেরা ‘বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেট’(পাবসস) এর ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের শহরশ্রী বাজারে সমিতির কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি মো.মছদ্দর আলীর সভাপতিত্বে এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও আইসিটি) মো: মামুনুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যন রনধীর কুমার দেব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন, দৈনিক খোলাচিঠি সম্পাদক সরফরাজ আলী বাবুল, জেলা সরকারী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরপদার. মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান ও সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া মাষ্টার প্রমুখ।
সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবুজ আহমেদ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে জানান,সমিতির ৮’শ ২৪ জন সদস্য সংখ্যার মাঝে ও বিভিন্ন খাতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং সমপরিমান অর্থ আদায় হয়।এতে সার্ভিস চার্জ বাবদ আয় হয় ৮০ লাখ টাকা এবং মোট লভ্যাংশ বন্টন করা হয় ২৪ লাখ টাকা। সমিতির ব্যয় বাদে বিভিন্ন তহবিলে জমা রয়েছে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য গত ২ নভেম্বর বড়ছড়া পাবসস দেশসেরা সমবায় সমিতি মনোনীত হয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে স¦র্ণপদক ও সম্মাননা সনদ প্রাপ্ত হয়।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আল হারামাইন হাসপাতালের উদ্যোগে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে গরীব ও অসহায় মানুষদের জন্য আজ বুধবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সার্বিক সহযোগীতায় এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অনমিত হিসাব সস্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব ড. আব্দুস শহীদ এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করবেন।
আল হারামাইন হাসপাতালের রিজিওনাল অফিসার (মার্কেটিং) সুফিয়ান আহমদ জানান, সকাল ১১ টা থেকে দিনব্যাপী আল হারামাইন হাসপাতালের ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎিকের তত্ত্ববধানে বিনামুল্যে এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। সেখানে চিকিৎিসা সেরা ছাড়াও বিনামুল্যে ঔষুধ প্রদান করা হবে। অসাহয় গরীব মানুষজন যাতে বিনামুল্যে চিকিৎিসা সেবা নিতে পারে এর জন্য পুরো উপজেলা জুড়ে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান।