হারুনূর রশীদ:বৃহস্পতিবার ৩০শে জুন ২০১৬: ১২.১৫::
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে অনলাইন সাক্ষর অভিযানের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই মূহুর্তে স্বাক্ষরের পরিমাণ সাড়ে তিরিশ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এতো বিপুল পরিমাণ মানুষ সই করতে আনলাইনে সাড়া দিতেছে যে প্রথম ধাক্কায়ই বৃটিশ সংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘ক্রাস’ হয়ে যায়।
গণতন্ত্রের সূতিকাগার বৃটেনের প্রচলিত গণতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক এক লক্ষ দস্তখত হলে সে বিষয় নিয়ে সংসদে আলাপ উঠতেই হবে এবং তা হয়েও আসছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্যপদের এই বিষয় নিয়ে বৃটিশ জনগন গণভোটের পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে এবং আছে এখনও। বৃটেনের ইতিহাসে কোন স্বাক্ষর অভিযানে এতো স্বাক্ষর ইতিপূর্বে আর দেখা যায়নি। ব্রেক্সিট বিরোধী এই স্বাক্ষরাভিযান দুনিয়ার সকল স্বাক্ষরাভিযানকে হার মানিয়ে দিয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে বৃটিশ সংসদের আবেদন সংক্রান্ত সিলেক্ট কমিটিতে এই বিষয় নিয়ে আগামী মঙ্গলবার আলোচনা হবে।
ব্রেক্সিট নিয়ে শ্রমিকদলে শুরু হয়েছে নতুন করে কোন্দল। করবিন গণভোটের সময় যে নমুনার প্রচারাভিযান চালানো দরকার ছিল তা তিনি করেননি এমন অভিযোগ এনে দু’য়ের অধিক এমপি ছায়ামন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অনেকেই বলছেন এক গণভোটে আমরা বুঝলাম আমাদের মানুষ ইউনিয়নে থাকতে চায়না। এখন যখন আবার কথা উঠছে তখন হয়েই যাক আরেক দফা গণভোট। দেখে নেই মানুষের শেষ মেষ হিসেব।
প্রাক্তন লেবার প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও বলেছেন, আর এক বার গণভোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ব্রেক্সিটে নিজেদের পালে হাওয়া টানার পরে এই পট বদলে স্বভাবতই অখুশি ইউকেআইপি-র নেতা নাইজেল ফারাজ। বৃটেন রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কেমডেনের শ্রমিক দলীয় এমপি স্যার কেয়ার স্টারমার পদত্যাগীদের একজন। তিনি দলের নেতৃত্বে রদবদলের পক্ষে।
ব্রেক্সিট পন্থিরাও বসে নেই। তারাও স্বাক্ষর অভিযানে নেমেছেন। কিন্তু পালে হাওয়া ধরাতে পারছেন না। এ পর্যন্ত মাত্র দেড়লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
ইইউ নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে বৃটেনকে কোন ছাড় দিতে রাজী নয়। তাদের সাফ সাফ কথা- চলে যাবেন; চলে যান। কবে যাচ্ছেন বলে দিন। লিখিত দিতে হবে না, মুখে মুখেই বলেদিন আমরা ফাইলপত্র ঠিক করে নেবো। এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলেননি কেমেরুণ। আগামী মঙ্গলবার এক শীর্ষ সন্মেলনে তার কথা বলার আছে। সবাই এখন সে দিকেই তাকিয়ে। তার আগ পর্যন্ত সকলকেই উদ্বেগ উতকন্ঠায় কাটাতে হবে।