ছায়া মন্ত্রীসভার শিক্ষা সচিব কেইট গ্রীন, এমপি, এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দীক পিমলিকো এলাকার একটি নার্সারী দেখছেন। তারিখ ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ২০২০। ছবি: টিউলিপ সিদ্দীকীর নিউজ লেটার থেকে।
মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। করোণা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার সামলানোর উপযুক্ত পদ্বতি বস্ততঃ আমাদের নেই। পরীক্ষা করে করোণা নির্ধারণ কর্মসূচী এখনও পুরো মাত্রায় কাজ শুরু করতে পারেনি। ফলে সরকার সেই আগের মতই কোন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া সারা শহর জুড়ে পুনঃরায় ‘লকডাউন’ এবং সারা দেশজুড়ে ‘কোয়ারেন্টাইন’ নিষেধাজ্ঞা জারী করে দিয়েছেন। অথচ মানুষের জীবনকে নিরাপদ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমাদের প্রয়োজন আরো কার্যকর লক্ষ্যযুক্ত সাড়াদেয়া। উপরের এ কথাগুলো এমপি টিউলিপ সিদ্দীকীর।
গত জুলাই মাসে “ইন্ডিপেন্ডেন্ট” পত্রিকায় প্রকাশিত তার এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন দেশের ‘শিশুযত্ন’ পরিসেবা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ‘শিশুযত্ন’ পরিসেবা ধ্বংস হয়ে গেলে মা-বাবাগন কাজ হারাবেন। সরকার একের পর এক ‘শিশুযত্ন’ পরিসেবাকে অবজ্ঞা করেই যাচ্ছেন। ফলে গরীব পরিবারগুলোকে সবচেয়ে বড়মূল্য দিতে হবে। এমন অবস্থায় আমাদের অর্থনীতি কি করে সুষ্টভাবে করোণা সংকট কাটিয়ে উঠবে বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
তিনি আরো লিখেছেন, এখনই ‘শিশুযত্ন’ পরিসেবার বিষয়ে সরকার যত্নবান না হলে প্রায় ১৯,০০০ কর্মী কাজ হারাবে। এ অবস্থা আমাদের অর্থনীতি, কর্মরত পরিবার ও অনগ্রসর শিশু-কিশোরদের জন্য এক ভয়াবহ বিপদের ঝুঁকি নিয়ে আসবে।
এমপি টিউলিপ সিদ্দীক, সরকারের ‘ইমিগ্রেশন বিল’ কে অভিশপ্ত আখ্যায়িত করে বলেন যে, এ বিল, এই ঘোর মহামারির মাঝে যেসকল সেবাকর্মী আমাদের জীবনকে নিরাপদ রেখেছেন তাদের এদেশে আসা ও থাকার অধিকার খর্ব করে। এখন সংসদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ চলছে। আসন্ন সংসদে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এসমূহ বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেই যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
|