কোন কালে যদি ভারতীয় ইউনিয়ন ভেঙ্গে কিছু স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় তা’হলে পশ্চিমবঙ্গ কি বাংলাদেশের সাথে যোগ দেবে? এমন একটি জঠিল প্রশ্ন তুলে কৌড়ায় লিখেছেন জনৈক মোহাম্মদ বুরহান উদ্দীন। তার ভাষায় ইংরেজরা সূচনাতেই এ পথ বন্ধ করে দিয়ে গেছে। আর বাকী যেটুকু সুযোগ ছিল, আমাদের ধর্মের নামের আচরণ অনুশীলন সেটুকু ফাঁককেও ভরাট করে দিয়ে রেখেছে। তিনি আরো বলেছেন, কেবলমাত্র ভাষা আর সীমান্তরেখা ছাড়া আমাদের দু’পক্ষের মাঝের বাকী সব নিজ নিজ পথে বহুদূর গড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে আর পূর্ববাংলার তো কবর রচনা হয়ে গেছে বাংলাদেশ নামের নতুন এক পরিচিতির মায়াজালে। দুই জার্মানীর এক হয়ে যাবার ঘটনাতো এই শতকেরই ঘটনা। একটি জনগুষ্ঠীর স্বীয় স্বার্থ রক্ষার রাজনীতির চোরা-বাঁকা পথে হাটতে গিয়ে এমন বহু উত্থান-পতন ঘটে থাকে। এমন ভাঙ্গা-গড়ার ভেতর দিয়েইতো আমাদের চলমান সভ্যতা হাঁটছে। সময়ের ডাকে সকলকেই সাড়া দিতে হয়। যে যত আগে সাড়া দেবে সে তত বেশী ফললাভ করবে। এটাইতো নিয়ম। এটাই জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা। তবে হ্যাঁ, সেখানে কিছু মানুষকে নিষ্ঠার সাথে শ্রম দিতে হয়। সময় দেয়ার সেই মানুষগুলোও জন্ম নেয় সময়ের ডাকে। যেখানে ভাঙ্গন বেশী সেখানেই ভাঙ্গা টুকরোগুলো একত্রিত হওয়ার তাগিদ অনুভব করে সকলের আগে। আমরা যত নমুনায় বিভক্ত হচ্ছি তার পাশাপাশি আর একটি কাজ সকলের অগোচরে তিল তিল করে গড়ে উঠছে সেটি হলো এক হবার বাসনা। কথাগুলো ভাবের আবেগের মত শুনায় কিন্তু এটিই সত্য। বিজ্ঞান এটিই বলে। কথায় আছে না নদীর এপার ভাঙ্গে তো ওপার গড়ে। এই ভাঙ্গা আর গড়া সচেতন স্রষ্টা শক্তির অমোঘ বিধান। স্রষ্টার শক্তির পক্ষে এসব ভাঙ্গা-গড়ার নিয়ন্তা হলাম আমরা মানুষ। |