1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
পাঠদান বন্ধ ২০টি কিন্ডারগার্ডেনে - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

পাঠদান বন্ধ ২০টি কিন্ডারগার্ডেনে

সৈয়দ বয়তুল আলী॥
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৭৮৯ পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং

দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোললেও আর্থিক সংকট ও শিক্ষার্থী অন্যত্র ভর্তি হওয়ায় মৌলভীবাজারের অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন(কেজি) স্কুল পুরোদমে বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবন ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। ভবন মালিকরা পরিবারের কিংবা ব্যাংক বীমার অফিস হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন ২০টি কেজি স্কুলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তাদের লেখাপড়া নিয়ে শংকায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

আবার দীর্ঘ দিন বেকার থাকায় শিক্ষকরা পেশা পরিবর্তন করেছেন।

মৌলভীবাজার কিন্ডার গার্টেন সমিতি জানায়, জেলায় ৪১৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি কে.জি. স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো আর কখনও খুলবে না। অনেক বিদ্যালয় ভবন ভাড়া দেয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। আবার অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন না। নানা কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।

কিন্ডারগার্টেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় বহু শিক্ষার্থী কোনো-না কোনো কাজে যুক্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের পড়ার টেবিলে বসানো মুশকিল।

বন্ধ হয়ে যাওয়া জুড়ি উপজেলার মাতৃছায়া শিশু শিক্ষা একাডেমি। করোনার আগে শত খানেক শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলে ক্লাস চলছিলো। শিক্ষক ছিলেন ১০ জন। স্কুল প্রধান মো. ইয়াহিয়া বলেন, ‘করোনা শুরুর পর থেকে স্কুল বন্ধ করে দেই। স্কুলের ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই স্কুলটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা কলম্বিয়া, পলাষ্টিকা ও ফিউচার ব্রাইট সহ অনেক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এহসান বিন মুজাহির বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকাবস্থায় সরকারীভাবে বড় ধরনের কোনো সহযোগীতা না করায় অর্থিক সংকটে প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়েছে।

মৌলভীবাজার শহরতলীর মডেল জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মুহিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছর কেজি স্কুল থেকে অনেক শিক্ষার্থী বের হয়। এই সমস্ত প্রতিষ্টান গুলো টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্টপোষকতা জরুরি। চলতি সময় করোনা মহামারিতে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী কাজে লেগে গেছে। আবার কেউ কেউ এবছর আর ভর্তি হতে চাচ্ছেনা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সামছুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ এর কারনে সব শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ ছিল। এখন বে- সরকারি যে সব শিক্ষ প্রতিষ্টান বিভিন্ন কারণে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি’র সুযোগ রয়েছে।

ক্যাপশনঃ মৌলভীবাজারের বন্ধ হয়ে যাওয়া অক্সফোর্ড এন্ড সায়েন্স একাডেমী।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT