মৌলভীবাজারে আমন ক্ষেতে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে ধানের ফলন নিয়ে কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কৃষকেরা বলছেন, কিছুদিন পর গাছে ধান আসার কথা। এ অবস্থায় পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করেও ভালো ফল পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে না। ধানের গাছে লাল রং ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১ লক্ষ ১ হাজার ২’শ ৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ লক্ষ ১ হাজার ৪’শ ২৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ হয়েছে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে এ ধানের চারা রোপণ করা হয় এবং অগ্রাহণ-পৌষ মাসে ধান ঘরে তোলা হয়। সরজমিরে জেলার সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। এসব পোকা ধান গাছের কা-ের ভেতর থেকে খাওয়া শুরু করে। যার ফলে ধানের চারার পাতা ছিদ্র হয়ে বাদামি রং ধারণ করছে। কোথায় কোথায় আবার লাল রং ধারণ করছে। পাতা মোড়ানো পোকা লম্বালম্বিভাবে মুড়িয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পাতায় সাদা লম্বা দাগ দেখা য়ায। খুব বেশি ক্ষতি করলে পাতাগুলো পুড়ে যাওয়ার মতো দেখায়। কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষক কয়ছল আহমদ, কুলাউড়া উপজেলার কৃষক আব্দুল হান্নান, রহমত আলী সহ একাধিক কৃষক বলেন, তাদের আমন ক্ষেত মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার সংক্রমণের শিকার। কীটনাশক ছিটিয়েও এ পোকা দমন করা যাচ্ছে না। এক বিঘা জমিতে এক দফা কীটনাশক প্রয়োগে ব্যয় হচ্ছে ৫’শ টাকা। ফলে উৎপাদন খরচও বাড়ছে। ফলন ভালো না হলে কী করবেন, বুঝতে পারছেন না। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, কিছু কিছু এলাকায় ধানের পাতা হলুদ রং ধারণ করেছে। জমিতে পর্যাপ্ত সার, কীঠনাশক ব্যবহার করলে তা সমাধা হয়ে যাবে। |