মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় ধলাই নদীর (১ম খন্ড থেকে) উপর নির্মিত স্টিলের সেতুর এক কিলোমিটার ভিতর থেকে অপিরকল্পিতভাবে বালু তোলার দায়ে আকস্মিক অভিযানে ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তার। এ সময় বালু উত্তোলনের পাইপ ও একটি ড্রেজার মেশিন ভেঙে দেন। তবে ইজারাদারের দাবি সকল আইন মেনে তারা বালু উত্তোলন করেছেন। আগে থেকে কোন কিছু না জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমন অভিযানে তাদের ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, এক কোটি টাকা মূল্য পরিশোধ করে ধলাই নদী এ বছর ইজারা এনেছেন ইজারাদার। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় ধলাই নদীর উপর নির্মিত স্টিলের সেতুর জায়গা ইজারার অন্তর্ভুক্ত থাকায় ইজারাদার সেতুর চার পাঁচ’শ মিটার দুর থেকে আইন মেনে বালু তুলছেন।
গত সোমবার(৪ অক্টোবর) বিকালে ধর্মপুর এলাকায় ধলাই নদীর সেতুর পাশ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযান পরিচালনা করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তার।
ছবি শিরোনাম: কমলগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে ধলাই নদীর তীর ভেঙ্গে যাচ্ছে।
বালু ইজারার অংশীদার মোঃ শামসুদ মিয়া বলেন, এসিল্যান্ড মেডাম আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছেন। আমাদের মেশিন ও পাইপ ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমরা বৈধভাবে বালু উত্তলন করছি।
বালু ইজারাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে ইজারা এনেছি, সরকার চাইলেতো সেতুর অংশ বাদ দিয়ে আমাদেরকে ইজারা দিতে পারতেন, আমারা সকল আইন মেনে বালু উত্তোলন করছি, গত রোববার আমাদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমনিতেই বৃষ্টির অভাবে নদীতে বালু নেই। আমরা বৈধভাবে বালু উত্তোলন করছি। জরিমানা, মেশিন ও পাইপ না ভেঙ্গে আমাদের বললেই চলে আমরা নিজ ইচ্ছায় সেখান থেকে সরিয়ে নিতাম।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তার বলেন, সেতুর এক কিলোমিটারের ভিতর থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের দায়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও সোমবারের আকস্মিক অভিযান ও জরিমানার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
|