পক্ষীপ্রেম বা পক্ষীর প্রতি ভালবাসা কার না থাকে। পাখী ভালবাসে না এমন মানুষ এ বিশ্বে খুব কমই আছে। এ বিশ্বের সকল মানুষই পাখীকূলকে খুবই আদরের চোখে দেখে। যদিও মানুষ পাখী ভক্ষন করে তার পরও পাখীর প্রতি মানুষের ভালবাসা মনের গভীর থেকে উৎসারিত। এ ভালবাসায় কোন খাদ নেই, কোন কৃত্তিমতা নেই।
অন্যদিকে, পাখীর প্রতি মানুষের ভালবাসার চেয়েও আরো বেশী প্রিয় পাখীর মাংস। পাখীর মাংস মানুষের খুবই সুস্বাধু খাবার। পাখীর মাংস সুস্বাদু। মাংস না খেলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দূরারোগ্য ব্যাধির সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু পাখীর মাংসে এমন সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সাধারণতঃ পাখীর মাংস বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিন এবং খাঁটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ থাকে। খনিজ পদার্থ তথা তামা, পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পাখীর মাংসে থাকে। অবশ্য সব পাখীর মাংসেই উপরোক্ত সকল খনিজ পদার্থ থাকে না। তারপরও পাখী যেমন মানুষের খুবই প্রিয় প্রাণী বলতেই হয় তার চেয়ে বেশী প্রিয় পাখীর মাংস।
সেই পক্ষীকূলের কয়েকটি পাখীকে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন রাজনগর থানার দু’জন পুলিশ। জনৈক পাখী ব্যবসায়ী কিছু পাখী খাঁচায় নিয়ে রাজনগর শহরে আসে বিক্রির জন্য। বাংলাদেশে পাখী বিক্রির ব্যবসা আইনীভাবে নিষিদ্ধ। বিষয়টি চোখে পড়ে শহর প্রদক্ষিনরত দু’জন পুলিশের। পাখী ব্যবসায়ীর দিকে একটু নজর দিতেই ব্যবসায়ী পাখীসহ পাখীর খাঁচা ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ দু’জন পাখীভর্তি খাঁচাটি এনে এক এক করে সব ক’টি পাখী আকাশে উড়িয়ে দেয়। মুক্ত সে পাখীগুলোর আনন্দ বুঝার জ্ঞানতো সকল মানুষের নেই। তার পরও উপস্থিত সকলেরই মনে এক নৈর্ব্যক্তিক হাসি ফুটে উঠেছিল। পুলিশের এমন পাখীপ্রেম অবশ্যই নতুন এক দিনের সম্ভাবনার কথা জানান দিয়ে যায়। |