ঢাকা, বুধবার, ১০ই আগস্ট: চোরাচালানের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে জাহাজের কন্টেনারে করে কয়েক লক্ষ মার্কিন ডলারের সিগারেটসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কূটনীতিকের নাম হান সন আইকি। তিনি ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের প্রথম সারির একজন সচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সিগারেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাংলাদেশে রপ্তানি করে কালো বাজারে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আমলা সাইদুল হক বলেন, কূটনৈতিক আইন ভঙ্গ করায় উত্তর কোরিয়ার ওই সচিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সরকারের কাছে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শুল্ক দপ্তরের এক অফিসার বলেন, ওই কূটনীতিক উদ্ধার হওয়া দ্রব্য কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। মালবাহী জাহাজের কন্টেইনারে করে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ সিগারেটের প্যাকেট এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাচারের জন্য বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসেও উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিককে একই অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে অবৈধভাবে মদ আমদানির অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার একটি সংস্থাকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল বাংলাদেশ শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা। এদিকে জাল টাকা পাচারের অভিযোগে ৯ জন বিদেশিসহ এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। ধৃত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৬ জন ক্যামেরুনের এবং দু’জন কঙ্গোর নাগরিক রয়েছেন।(পিটিআই এর খবর ছাপিয়েছে বর্তমান, আলজাজিরাও প্রচার করেছে)