অস্বাভাবিক বয়সের কারণে গিনিস বইয়ে নতুন করে নাম তুলেছেন জনাথন। তার বয়স এ বছর এসে ১৯০ বছরে ঠেকেছে। বিশ্বের সবচেয়ে জীবন্ত প্রাণী এই জনাথন। মানুষের এমন বয়স বিশ্বেস করতে পারছেন না! বিচলিত হবেন না। জনাথনের বয়স ঠিকই ১৯০ বছর হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই গিনিস বই তার ছবিসহ বিষয় বৃত্তান্ত প্রকাশ করেছে। সেন্ট হেলেনা সরকারের এক বিবরণীতে জনাথনের বয়স বিষয়ে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো জনাথন অন্ধ; চোখে দেখতে পায় না এবং তার ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। অবশ্য তার শ্রবণশক্তি চমৎকার এবং তিনি মানুষের সঙ্গ পছন্দ করেন। জনাথনের চিকিৎসক পশুচিকিত্সক জো হলিন্সের গলার আওয়াজ তিনি ঠিকই ধরতে পারেন। চিকিৎসক হলিন্সই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জনাথনকে নিজ হাতে খাওয়াতে পারেন। ধারণা করা হয় জনাথনের জন্ম হয়েছিল ১৮৩২ সালে। সে হিসেবে এবছর তার বয়স দাড়িয়েছে ১৯০ বছর। জনাথনের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ১৮৩৮ সালে যখন কেমেরা আবিষ্কার হয় এবং প্রথম মানুষের ছবি তোলা হয়। ১৮৭৬ সালে যখন প্রথম টেলিফোন ব্যবহার করা হয়। ১৮৭৮সালে যখন বিশ্বের আলোক ভাল্ব আবিষ্কার করা হয়। ১৮৮৭ সালে পুরো লোহার কাঠামো ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ১৯০৩ সালে প্রথম উড়োজাহাজের উড্ডয়ন হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন চাঁদে প্রথম মানুষ হয়েছিলেন। জনাথনের চারপাশের জগতটি যদিও বিকশিত এবং উন্নত হয়েছে, জোনাথন কিন্তু একই রয়ে গেছেন। আজ অবধি, তার প্রধান আগ্রহগুলি হল ঘুমানো, খাওয়া এবং সঙ্গম করা। জোনাথনের প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি, শসা, গাজর, আপেল এবং অন্যান্য মৌসুমি ফল। তিনি কলাও পছন্দ করেন। এমন মানুষটির ছবি দেখার জন্য নিশ্চয়ই মন হিসফিস করছে! উপরে তো একখানা ছবি আমরা দিয়েই দিয়েছি সাথে সাথে জানাচ্ছি এই জোনাথন সেই জোনাথন নয়। এ জোনাথন সেন্ট হেলেনা দ্বীপরাজ্যের বাসীন্ধা ১৯০ বছর বয়সী কচ্ছপ বা কাছিম। এই বছর তার ১৯০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়, জোনাথন এখন সবচেয়ে বয়স্ক কচ্ছপ। সাধারণত একটা কচ্ছপের গড় আয়ু থাকে ১৫-২০ বছর। কিন্ত ১৯০ বছর পর্যন্ত কোন কচ্ছপ বাচঁতে পারে এটা হয়তো অনেকেই কল্পনাই করতে পারেন না। তারপরও জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক কচ্ছপ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে জোনাথন নামের এই কচ্ছপ। সেন্ট হেলেনা দ্বীপে বাস করা এ কচ্ছপটির বয়স হয়েছে ১৯০ বছর। ধারণা করা হয় ১৮৩২ সালে তার জন্ম হয়েছিল। এদিকে দপ্তরগতভাবে জোনাথানের বয়স ১৯০ ধরা হলেও অনেকের ধারণা ও বিশ্বাস তার বয়স ২০০ পার হয়ে গেছে। কারণ জোনাথানের জন্ম কখন হয়েছিল এ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। কত বছর বয়সে সে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে এসেছিল তা সকলের কাছে অজানা। দীর্ঘ বয়সী এই প্রাণীটিকে দেখতে প্রতিদিনই দুর দুরান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন। এর আগেও বিকিরণযুক্ত একটি কচ্ছপ প্রায় ১৮৮ বছর বেঁচে ছিল। যার নাম ছিল ‘তুই মালিলা’। ১৯৬৫ সালে তুই মালিলা’র মৃত্যু হয়েছিল। |