মুক্তকথা: রোববার, ১৪ই আগষ্ট ২০১৬।।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা। শুধু একটি গুহা বললে ভুল হবে। গুহার দেশ বললে আমার ধারণায় সঠিক হবে। নিশ্চয়ই সবার মনে প্রশ্ন আসছে এ কেমন? শুনুন তবে। দু’হাজার থেকে ৮ হাজার বছর হবে এই গুহাদেশ মানুষের জানাজানিতে আসার বয়স। ৮ হাজার বছর আগের আদি মানুষও এই গুহাদেশ ব্যবহার করেছে। তার নজির পাওয়া গেছে। আকিয়ে বাঁকিয়ে সর্বমোট পরিসর ৩৯২ মাইল এলাকা জুড়ে। গুহায় গুহায় এই দূরত্ব ভ্রমন করতে পারবেন। একদিনে এই গুহাদেশ আবিস্কৃত হয়নি। প্রথম পাওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি খনন করে করে এতো বিশাল বিস্তৃতির গুহাদেশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আমেরিকার আদিবাসীরা ব্যবহার করতো অনুমান ৮ হাজার বছর আগ থেকে। তার পর আধুনিক মানুষেরা মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে আজকের দিনে এসে এই গুহাদেশ পেয়েছে।
বছরে কয়েক কোটির উপর মানুষ দেখতে আসে এই গুহাদেশ। জাতীয় পার্ক কর্তৃপক্ষ পর্যটক বা দর্শকদের জন্য গুহা ভ্রমনের ব্যবস্থা রেখেছেন। গুহাদেশ কিটকিটে অন্ধকার তাই ভ্রমণকারীদের কপালে বৈদ্যুতিক লাগিয়ে যেতে হয়। হামাগুড়ির জন্য হাটুতে “নি প্যাড” লাগাতে হয়। বিদ্যুৎ চালিত লটকনির (hanging lock) মাধ্যমেও একটা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত দেখা যায়। গুহার অনেক এলাকা আছে ঘুট ঘুঁটে অন্ধকার, সেখানে হারিকেন হাতে চলতে হয়। আবার, গুহার অনেক এলাকা আছে যেখানে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয়। চলতে হয় শরীর গড়িয়ে(slithers)। এখন, এ সমূহ ব্যবস্থা ব্যবসায়িকভাবে রাখা আছে। প্রায় ৫মাইল বিস্তৃত একেবারে আদিম নমুনার একটি এলাকা রয়েছে যেখানে দেখতে হলে হামাগুড়ি ছাড়া উপায় নেই। আর একটি এলাকা রয়েছে যেখানে ঘুরতে গেলে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহ দেখতে পাওয়া যায়। গুহার একেবারে নিচে স্তরে রয়েছে এটি।
সবচেয়ে আসল যে কথা তাইতো বলিনি। গুহাটি কোথায় কোনদেশে। এমন প্রশ্নের উত্তর একটিই আর তা হল আমেরিকা। আমেরিকার কেন্টাকিতেই অবস্থিত ওই বিশালাকার গুহা। ওখানকার নেশনেল পার্ক কর্তৃপক্ষ এই গুহা দর্শনের সমূহ ব্যবস্থা ব্যবসায়িকভাবে করে রেখেছেন।