মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে শ্রীমঙ্গলে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা চৌমুহনা চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
আজ সোমবার(১৭ জুলাই) বিকাল ৪ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও কর্মচারী ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আজ শ্রীমঙ্গলের এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা সমাবেশে অংশ নেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা জ্যোতিষ মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি বিমান বর্ধন, প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা বিপ্লব দাশ ও কামরুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিঃ সহ-সভাপতি খালেদ মোঃ আব্দুল বাছিত, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ দত্তসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড় সমান বৈষম্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে আমাদের দাবী মেনে নিন।
তারা বলেন, আমাদের এক দফা এবং দাবি একটিই আমাদের জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন রাজপথেই আন্দোলন চালিয়ে যাব। এমনকি যতদিন পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাসের কাজে নিয়োজিত থেকে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে।