1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের বহুজনকে মুক্ত করে দিয়েছেন - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ভারতীয় নাগরিকদের বহুজনকে মুক্ত করে দিয়েছেন

বিশেষ প্রতিনিধি॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৮৮ পড়া হয়েছে

ভারতের কারাগারে বন্দি ৩ শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিককে মুক্ত করে এনেছেন

বহুমাত্রিক সামাজিক বিনোদন মাধ্যম ‘ইত্যাদি’

মৌলভীবাজারের মানবিক এই সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাশকে নিয়ে স্ববাকচিত্র প্রকাশ করেছে

এসকল কাজে তার নিজের অনেক টাকা খরচ হয়

ভারতের কারাগারে বন্দি ৩ শতাধিক বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ভারতের ১৯ নাগরিকের মুক্তিতে সহযোগিতা করে মানবিক মানুষ হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মৌলভীবাজারের অমলেন্দু কুমার দাশ।

 

বরাবরের মতো এবারের আগামাী ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ’ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে হৃদয়ছোঁয়া মানবিক প্রতিবেদন প্রচারিত হবে। মানবিক প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে মৌলভীবাজারের মানবিক মানুষ অমলেন্দু কুমার দাশের মানবিক কাজ। এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক শোভার লীলাভূমি নেত্রকোণায়।

অমলেন্দু কুমার দাশ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ বাড়ন্তি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। সরকারি চাকুরীর পাশাপাশি তিনি লোক সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী লেখা-লেখিসহ লোকজ সংস্কৃতি রক্ষায় কাজ করছেন। তিনি নীরবে সমাজসেবা ও আর্তমানবতার সেবা করাতেই তিনি নিজেকে খুঁজে পান আর অসীম তৃপ্তিবোধ করেন।

একজন সত্যিকারের মানবিক মানুষ অমলেন্দু দাশ

অমলেন্দু দাশ ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৩শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্ত করে তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। এ কাজের জন্যই তাকে মানবিক মানুষ বলা হয়। মানবিক কাজের পিছনে রয়েছে এক বৃদ্ধা মায়ের চোখের জল, অনেক বন্দীর করুণ কাহিনী ও নীরব চাহনি। ভারতের আসামের পাথারকান্দির জয়ন্তী বিশ্বাস ছেলেকে নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে মৌলভীবাজার কারাগারে বন্দী হন। আদালত তাদেরকে ১মাসের জেল প্রদান করেন। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হলেও নানান প্রশাসনিক জটিলতায় তারা নিজ দেশে যেতে পারছিলেন না। ১৪ মাস পর আসামের এমএলএ কৃষ্ণেন্দু পালের অনুরোধে অমলেন্দু বাবু প্রায় দুই মাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌঁড়ঝাপ করে তাদের মুক্তির আদেশ হাতে পান। অবশেষে ১৬ মাসের বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে মা ছেলেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন। এসময় তাদের কান্নাতে সেদিন সীমান্ত এলাকার পরিবেশ অন্যরকম হয়ে উঠেছিল। মা-ছেলের ঘরে ফেরার আনন্দে অমলেন্দু বাবুর এ ধরনের কাজে উৎসাহ বেড়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের সকল ভারতীয় বন্দী এবং সিলেট জেলা কারাগারের কয়েকজন বন্দীকে ভারতে নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন। এই বন্দীদের অনেকেই ১৪/১৯ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের কারাগারে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দী ছিলেন।

 

অমলেন্দু বাবুর এ মহতি কাজ মিডিয়াতে প্রচার হলে ভারতীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী ও সমাজসেবক অমলেন্দু বাবুকে জানান আসামের বিভিন্ন কারাগারে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক বন্দী রয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত উভয় দেশের আইনী ও প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারের বন্দীর পরিবারকে খোঁজে ৩ শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে নিজ দেশে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

পুরো কাজটি অমলেন্দু বাবু আন্তরিকতা আর স্বেচ্ছাশ্রমের মানসিকতা থেকে করছেন। অমলেন্দু বাবু তার বেতনের একটা অংশ এই কাজে ব্যয় করে থাকেন। অসহায় বন্দীদের মুক্ত করা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। বন্দীদের মুক্ত করার আনন্দে তিনি সমস্ত কষ্ট ও যন্ত্রণা ভুলে যান। ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে অমলেন্দু দাশ একজন মহামানব আবার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে পরিচিত।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT