দুনিয়ার বৃহত্তম প্রতিবাদ" />
২০০ মিলিয়ন কর্মজীবী মানুষ প্রতিবাদে শরিক হয়েছে
মুক্তকথা: বৃহস্পতিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৬।। উচ্চ মজুরী আর দেশের শিল্পকারখানাকে ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে নেয়ার মোদি সরকারের অশুভ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সারা ভারত ব্যাপী গত শুক্রবার ২রা সেপ্টেম্বর শ্রমিক ধর্মঘট।
দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানাকে ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে নেয়াসহ মোদি সরকারের অন্যান্য ডানপন্থি অর্থনৈতিক কৌশলী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সারা ভারতের লক্ষ লক্ষ সরকারী কর্মচারী গত শুক্রবার এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
“এই ধর্মঘট কর্মজীবী মানুষের ন্যায্য দাবীর ধর্মঘট, এই ধর্মঘট কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে”, আলজাজিরার কাছে বলেছেন- “ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস”এর রমেন পান্ডে। তিনি আরও বলেছেন-“ আমাদের এই ধর্মঘট একশত ভাগ সফল হবে। আমরা প্রমাণ দেখাবো যে আমাদের ধর্মঘট দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী কর্মজীবী মানুষের সম্পৃক্তির একটি ধর্মঘট।”
গার্ডিয়ান লিখেছে-“দৈনিক নুন্যতম মজুরী ৬৯২রুপি, শ্বাশ্বত সামাজিক নিরাপত্তা এবং দেশের রেলওয়ে, ইন্সুরেন্স ও প্রতিরক্ষা শিল্পে বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা হল ট্রেড ইউনিয়নের ১২টি দাবীর মধ্যে অন্যতম।
মোদি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের কয়েকটি রাজ্য পরিচালিত শিল্পে ব্যক্তিগত বৈদেশিক বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে।
আলজাজিরা বলেছে-“স্টেট ব্যাংক কর্মচারী, স্কুল শিক্ষক, ডাক কর্মচারী, খনি শ্রমিক এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ অনুমান ১৮০ মিলিয়ন কর্মজীবী মানুষ এই ধর্মঘটে শরিক হয়েছে।”
দিল্লী জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তি ঘোষ গার্ডিয়ানকে বলেছেন- “মোদি সরকারের বিভিন্ন পরিবর্তনের পদক্ষেপ ২৫ বছর মেয়াদি উদারনৈতিক সংস্কার কর্মসূচী সারা দেশব্যাপী কর্মজীবী মানুষকে খুবই খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে।”
ঘোষের বরাতে গার্ডিয়ান আরো লিখেছে- “সারা ভারতে সংখ্যায় শতকরা ৪ ভাগেরও কম কর্মজীবী মানুষ ‘কর্মনিরাপত্তা’ সুবিধা পায় তাও খুব ভোগান্তির মধ্যদিয়ে পায়। এটি একটি সাধারণ জ্ঞানের কথা যে সরকার ‘দারিদ্র’কে চিন্তায় না রেখে গরীবিকে মুখ্য ধরে নিয়েছে এবং জরুরী সাধারণ সেবা কার্য্যক্রম বহুলাংশে কমে এসেছে।”