মুক্তকথা: শুক্রবার, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৬।। এক বিলিয়নেরও উপরে লোকসংখ্যা যেখানে সেদেশে ইন্টারনেট সেবা সাগরে বারি বিন্দুর মত। বিশাল এই লোক সংখ্যার মাত্র ৫ ভাগের এক ভাগ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পায়। বাকীরা ইন্টারনেট শব্দের সাথে কতটুকু পরিচিত আছে বলা মুশ্কিল। তবে এখনও তাদের দরজায়, বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অত্যাধুনিক এই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পৌঁছায়নি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যায়। আর এই দেশটিই হল বিশ্বের বিশ অর্জুনের এক, নাম ভারত।
সেই মহাভারত! আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে যে ভারত দুনিয়ার মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে প্রেম আর ভালবাসা। জন্ম দিয়েছে বিশ্বমানবতার পথ প্রদর্শক গৌতম বুদ্ধের মত বিশ্বনন্দিত মহামনীষীর। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ভারতীয় মনীষার অবদান বহুজাতিগুষ্ঠীর ঈর্ষার কারণ। সেই ভারতের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে; তার প্রধান কারণ ঘনবসতিপূর্ণ মোম্বাই আর কলকাতা শহরের বাইরের ভারতের ইন্টারনেট স্থাপনা, আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই পায়নি। দেশের ঘরে ঘরে তো দূরের কথা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শহরে পর্যন্ত আধুনিক পদ্বতির ইন্টারনেট সুবিধা নেই।
বিশাল ভারতে এই কি চলতে পারে? না, কোন অবস্থাতেই তা চলতে দেয়া যায় না। আর সাধারণ মানুষের একটি বিপুল অংশকে এহেন বঞ্চনা থেকে বের করে নিয়ে আসতে এগিয়ে এসেছেন ভারতেরই এক কীর্তিমান মুকেশ আম্বানী। মুকেশ তেল ও গ্যাসের ব্যবসা থেকে ভাগ্য গড়েছেন। গত সোমবার তিনি নতুন এক সেবার দ্বার উন্মোচন করেছেন, জানিয়েছে সিএনএন।
আম্বানী মুকেশ সারা ভারতে এক লক্ষ টাওয়ার নির্মাণের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এই টাওয়ার পদ্বতিতে তিনি কমপক্ষে কয়েক শ’লক্ষ গ্রাহককে নিখরচায় ইন্টারনেটে ঢুকার ব্যবস্থা করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তার ভাষায় এ পদ্বতিতে ইন্টারনেট গ্রাহকগন ৪জি ইন্টারনেট স্পীডের সমান সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ভারতের মত বিশাল বাজারে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর জন্য এ লাইনের কারিগরী ব্যবসায়ীগন বছরের পর বছর ধরে রাস্তা খুঁজে চলেছেন কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছিল না। আম্বানী’র এই বিনিয়োগ শুধুই যে মানুষের সুবিধার জন্য আজীবন নিখরচায় সেবাভোগ, তেমন নয়। ২০১৬ পর্যন্ত নিখরচায় ইন্টারনেটে ঢুকার সুযোগ নিশ্চিত। এর পর থেকে প্রত্যেক গ্রাহককে মাসে প্রায় ২.২৫ ডলার দিতে হবে ডাটা পাওয়ার জন্য।(এটলাস অবসকুড়া থেকে)
আমাদের দেশেও কি এমন কেউ নেই এগিয়ে আসার! বহুজন, বহু নমুনায়ই বিপুল ধনভান্ডার গড়ে তুলেছেন বা গোছিয়ে নিয়েছেন, এ তো আর নতুন কথা নয়। সবারই জানা। এবার না হয় কিছুটা মানুষের কাজেও লাগান।