কিন্তু এ যুদ্ধ কার স্বার্থে?
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের উল্লেখ করে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা করতে পারে ইরান। ওই একই সূত্রের উল্লেখ করে বাংলাদেশের বহু সংবাদপত্র একই খবর প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, দক্ষিণ অথবা উত্তর ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। তবে অন্য এক সূত্রের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, তেহরান এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এখানে বলতেই হয় যে, তেহরান যেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলা হচ্ছে তা’হলে ওই একই সংবাদপত্রগুলো কি তথ্যের ভিত্তিতে এমন প্রচারণামূলক প্রকাশ করছেন সুধি সমাজের অনেকেই তা বুঝতে পারছেন না। তাদের মতে তবে কি ইরাণকে উস্কে দেয়া হচ্ছে তেলআবিবকে আক্রমনের জন্য? আর যারা এমন উস্কানীমূলক শব্দমালা প্রকাশ করছেন তারাও আসলে চান আরেকটা যুদ্ধ হয়ে যাক! পশ্চিমাদের জন্য এমন চাওয়ার স্বার্থ আছে কিন্তু আমাদের মত স্বল্প আয়ের দেশ পশ্চিমা শক্তিগুলোর এমন চাওয়াকে কেনো মেনে নেবে? এখানে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে যে ‘এ যুদ্ধ কার স্বার্থে?’
সাম্রাজ্যবাদী গুষ্ঠী এমন যুদ্ধ চায়। যুদ্ধ তাদের ব্যবসা! এ বিষয়টি এখন সারা বিশ্বের আবাল-বৃদ্ধও জানে। যুদ্ধ বাধিয়ে তারা একদিকে লুঠপাট করে অন্য দিকে অস্ত্র বিক্রি করে। এমন বিষয় যে, কেউ বুঝেন না তা-তো নয়। তা’হলে কাদের স্বার্থে এমন যুদ্ধের উস্কানী? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।
ইরাণের ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে এমন ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। |
সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে ইরানের জেনারেলসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতিশোধের হুমকি দিচ্ছেন ইরানের শীর্ষ নেতারা। বলা হচ্ছে, এবার সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান।
এর আগে পশ্চিমা গণ্যমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়, সরাসরি ইসরায়েল অথবা ইসরায়েলের স্বার্থ রয়েছে এমন স্থাপনায় ইরানের হামলা আসন্ন। গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলের হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ অন্তত সাতজন নিহত হন। এরপর ইসরায়েলে হামলার চূড়ান্ত অঙ্গীকার করে ইরান।