মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রায় প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মো: বিল্লাল হোসেন। এসময় আসামী আবারক মিয়া ও জয়নাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয়ের বাড়ী রাজনগর উপজেলায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসের ৩০ তারিখে ধান কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে নগদ ৭০হাজার টাকা নিয়ে রাশেদা বেগম বের হন। সন্ধ্যায় তিনি আসামী আবারক মিয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন বলে জানান মুঠোফোনে। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী আবারক মিয়া ও জয়নাল মিয়া একসাথে চলাফেরা করতো। ঘটনার দিন জয়নাল মিয়া রাশেদা বেগমকে নিয়ে আবারক মিয়ার বাড়ী আসে। সেখান থেকে মাছু গাঙ্গের পাড়ে নিয়ে ভিকটিমকে দু’জনে মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ভিকটিম বিষয়টি প্রকাশ করে দিবে এই ভয়ে আসামীরা তাকে হত্যা করে করে মাছু গাঙ্গে ফেলে দেয়। পরে রাজনগর থানা পুলিশ সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালিদ রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, আদালতের রায়ে আমরা খুঁশি। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আসামীদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদেরকে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মো: বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করবো। আসামীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আশাকরি উচ্চ আদালতে আসামীরা খালাস পাবেন।