ক্ষতিগ্রস্ত পোষাক খাতের সহায়তায় ব্যবসায়ীদের জন্য
৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের আশ্বাস
টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা
রপ্তানির চাকা সচল রাখতে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার(২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিনিধি দলের এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি এবং ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কারণে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি ব্যাংকের এলসি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করে বৈঠক সূত্রের উদৃতি দিয়ে সংবাদ পত্র ইত্তেফাক লিখেছে- এতে এসব ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যক্রম পুনরায় সচল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আশ্বাস দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন হয়ে যাবে। এরপর এলসি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের আরো কয়েকদিন ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন গভর্নর।
এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এখনই বন্ধ না করে বিদ্যমান তিন বিলিয়ন ডলারের ফান্ড চালু রাখার আবেদন করা হয়। গভর্নর বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এরপর বিজিএমইএর পক্ষ থেকে তৃতীয় একটি দাবি তুলে ধরা হয়। তারা জানান, গত দুই মাস ধরে দেশে চলমান অস্থিরতায় পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রপ্তানির টাকা সচল রাখতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল (সফট লোন) গঠন করা প্রয়োজন। আগামী এক বছরের মধ্যে সুদসহ এ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকার একটি সফট লোন প্যাকেজ চালু করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া ইডিএফ কার্যক্রম চালু থাকবে। ছয় ব্যাংকের এলসি সমস্যা ও দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর।