1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
চা-বাগান বন্ধের ঘোষণা ॥ চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

চা-বাগান বন্ধের ঘোষণা ॥ চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত ও বিশ্বজিৎ নন্দী॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ পড়া হয়েছে

চা-বাগান বন্ধের ঘোষণায় চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ফুলতলা চা বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদানের দাবিতে
চা শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশ

গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রবিবার বিকাল ৪টায় মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অবিলম্বে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার ফুলতলা চা বাগানসহ সকল বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট আবুল হাসান, চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য রাহাত আহমেদ, বাসদ নেতা খছরু চৌধুরী, চারণ জেলা সংগঠক হৃদয় অধিকারী, চা শ্রমিক ফেডারেশন রাজনগর চা বাগান কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেওনারায়ন কল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন চা শ্রমিকরা এই দেশের সবচেয়ে নিগৃহীত জনগোষ্ঠী। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০২২ সালে চা শ্রমিকদের ৩০০টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার চা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে মাত্র ৫০টাকা মজুরি বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। একেতো চা শ্রমিকদের সাথে সরকার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মজুরি বৈষম্য রাখলেন ওপর দিকে এরিয়ারের সম্পূর্ণ টাকা মালিক পক্ষ পরিশোধ না করে এক তৃতীয়াংশ প্রদান করলেন। এরকম অনেক নজির রয়েছে চা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণার। এখন তো আবার সেই ১৭০টাকা মজুরি প্রদানটাও বন্ধ করে ফুলতলা চা বাগানসহ বিভিন্ন বাগানে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদান করছে না মালিকপক্ষ। তাই অবিলম্বে ফুলতলা চা বাগানসহ সকল বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মজুরি প্রদান করতে হবে প্রয়োজনে কোনও মালিক মজুরি প্রদানে ব্যর্থ হলে ব্যর্থ মালিকদের কাছ থেকে বাগান উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাগান পরিচালনা করতে হবে।


বকেয়া মজুরী ও বাগান বন্ধের ঘোষণায়
চা শ্রমিক বিক্ষোভ

 

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ফুলতলা চা বাগানে বকেয়া মজুরি ও বাগান বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে প্রায় দেড় হাজার চা শ্রমিক বিক্ষোভ করেছে।

শ্রম আইন না মেনে এভাবে হঠাৎ করে বাগান বন্ধের নোটিশে ও বকেয়া মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে গেলো বুধবার(২৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, বিগত নয় ৯ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকের মজুরি ও রেশন বন্ধ রয়েছে। তিন মাসেরও বেশী সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়াও বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে। গত মার্চ মাস থেকে বাগান পরিচালনার জন্য মালিক পক্ষ থেকে কোন টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

বাগানের উৎপাদন আয় থেকে ব্যয় বেশি হওয়ায় ম্যানেজমেন্টের পক্ষে চা পাতা বিক্রি করেও বাগান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। মজুরি ও রেশন না পেয়ে শ্রমিক পরিবারগুলোর বেহাল অবস্থায় দিন কাটছে। এর মধ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক মন্দা এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণ দেখিয়ে “দি নিউ সিলেট টি এস্টেটস লিমিটেড” এর ফুলতলা চা বাগানের সকল কার্যক্রম এ বছরের আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করার নোটিশ পাঠানো হয়েছে মালিক পক্ষ থেকে। তবে দেশের চলমান সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে বাগান চালু হবে বলে জানানো হয়।

ফ্যাক্টরি ঘেরাও করে শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আকারুল ইসলাম, জুড়ী থানার ওসি মেহেদী হাসান, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সেলু, ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ ও স্বপন মল্লিক উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সমস্যা দ্রুত সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আকারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সকল যৌক্তিক দাবি দাওয়া বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

জুড়ী থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া মজুরি পেতে সবধরণের সহযোগিতা করা হবে। খুব দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

ফুলতলা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাগান বন্ধ ঘোষণা দিয়ে মালিক পক্ষ থেকে একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাগানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩মাস থেকে বেতন বাকি রয়েছে। মালিক পক্ষ থেকে বাগান পরিচালনার জন্য মার্চ মাস থেকে কোন টাকা দেওয়া হচ্ছে না। বাগানের বিদ্যুৎ গত বছরের অক্টোবর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ার দিয়ে ফ্যাক্টরি চালানো হয়। সার্বিক পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বাগান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শ্রমিকরাও মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের দাবির সাথে আমরাও একমত। বাগান বন্ধ হয়ে গেলে এতো মানুষ অসহায় হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে আমরা চেয়েছিলাম চাকরি ছেড়ে চলে যেতে কিন্তু শ্রমিকদের অনুরোধে তাদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। শ্রমিকদের সাত সপ্তাহের মজুরি ও নয় সপ্তাহের রেশন বকেয়া রয়েছে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT