লন্ডন মঙ্গলবার, ২৯শে কার্তিক ১৪২৩।। ইলিশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় মাছ। পদ্মার ইলিশের বিশ্বজোড়া খ্যাতি আজ নতুন কিছু নয়। আর তাই, ইলিশের স্বত্ব বা মালিকানা সুরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক স্বত্ববিষয়ক সংস্থা বা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের নিয়ম মেনে ইলিশের নিবন্ধন করা হচ্ছে। ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস’ বা ভৌগোলিক নির্দেশক হল একটি প্রতীক, আর বিশ্ব বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই জিআই পণ্যের মালিকানা পাওয়া। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য বলতে বোঝায়, যে পণ্য ঐতিহ্যগতভাবে একটি এলাকার এবং যার উৎপত্তির সঙ্গে ঐতিহ্যগতভাবে ওই এলাকার নাম জড়িয়ে আছে। অঞ্চলের নাম ঘিরে ওই পণ্যের বিশেষ খ্যাতি থাকে। জিআই পণ্য সম্পর্কে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের পরীক্ষক বেল্লাল হোসেন বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন হলে ওই পণ্যের ওপর বাংলাদেশের একক মালিকানা তৈরি হবে; বিশ্বে বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এতে পণ্যের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি মিলবে। গত রোববার মৎস্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এর বেশ আগে বাংলাদেশ “ইলিশ সংরক্ষন ট্রাস্ট ফান্ড” নামে একটি তহবীল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জলবায়ূ পরিবর্তনে পরিবেশের বৈপরীত্ব আর মানুষ বেড়ে যাবার কারণে গভীর মিটা পানির সুগন্ধময় সুমিষ্ট এই ইলিশ মাছ অসময়ে, বেড়ে উঠার আগেই নিদারুণভাবে নিধন করা হয়। বেপরোয়াভাবে প্রকৃতিবিরুদ্ধ সময়ে ইলিশ নিধন রোধকল্পেই বাংলাদেশ
মূলতঃ ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার সহ কয়েকটি দেশের উপকূলে পাওয়া যায়। কিন্তু পদ্মা ও মেঘনার চাঁদরংগা ইলিশের ঘ্রাণ ও স্বাদ অন্য আর কোথায়ও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকী গঙ্গার ভারতীয় অংশে যে ইলিশ পাওয়া যায়, স্বাদে-গন্ধে তা পদ্মার ইলিশের কাছেই আসার নয়। এমনই মন্তব্য করেছেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। এর আগে বাংলাদেশ ‘জামদানী’র মালিকানা স্বত্বের উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছিল। ভারত ততদিনে প্রায় ৪ সাড়ে ৪শত দ্রব্য সামগ্রীর মালিকানা স্বত্ব নিয়ে নিয়েছে। (খবর সূত্র: আইপিএস, আনন্দবাজার ও নিউএইজ)