লন্ডন: মঙ্গলবার ৪ঠা পৌষ ১৪২৩।। প্রকৃতির আশীর্বাদপুষ্ঠ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১৩ বছরের কিশোরী মালিহা আইকিউ টেস্টে আইনস্টাইনকেও ছাড়িয়ে। খবরটি ছেপেছে “বাংলাভাষী” অনলাইন।
ধন্য এই মা আর বাবাকে! সবই তাদের কর্মফল। অনেকেই বলবেন প্রকৃতির আশীর্বাদ! স্রষ্টার দান! তা না হলে এমন মেধা-প্রতিভা আসে কোত্থেকে? বাবা আইন পেশার মানুষ আর মা গৃহিনী। এই তো, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্র এতোটুকুই বিস্তৃত। কিন্তু না, জীবন চলার পথে এই মা-বাবার এমন কিছুই কাঙ্ক্ষিত ছিল। আর তাদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে নবপ্রজন্মের স্তরে নিয়ে আসার অনাবিল আকুতি ছিল তাদের অপরিসীম। মনের সেই নিষ্কলুশ আকুতির সাধনাই তাদের “মালিহা”।
মাত্র ১৩ বছরের কিশোরী এই মালিহাকে নিয়ে শেখ জাহিদ হাসান এমনই একটি খবর লিখেছেন। তিনি লিখেছেন- “অ্যালবার্ট আইস্টাইন, স্টিফেন হকিংয়ের আই কিউ সব সময়েই উদাহরণ। স্বাভাবিক। এবার হয়তো আই কিউ প্রসঙ্গে ওই তাবড় বিজ্ঞানীদেরঙ্গে নাম উচ্চারিত হবে এই বৃটিশ কিশোরীরও। হবে নাই বা কেন? মাত্র ১৩ বছর বয়সেই যে সে ঐতিহ্যবাহী হাই আই কিউ সোসাইটি মেনসরার আই কিউ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোরার। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণসুরমা উপজেলার জালালপুর কুটিরা (বেগবাড়ি)। ওই ব্রিটিশ কিশোরীর কীর্তিতে হতবাক তামাম দুনিয়া।”
“১৩ বছরের মালিহা আহমদ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হলেও লন্ডনেই বেড়ে উঠেছে। লন্ডনের ফুলউড স্কুলে পড়াশোনা করে সে। মা গৃহিনী ও বাবা আইনজীবী।দু’জনেই বাংলাদেশী৷ সম্প্রতি বেসরকারি এই আইকিউ টেস্টে অংশ নেয় মালিহা। যাতে তার স্কোর ১৬২। যেখানে আইনস্টাইন ও হকিংসের বুদ্ধি ১৬০ সংখ্যা পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল।”
“মেনসা আইকিউ সোসাইটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী। এই সংস্থার পরীক্ষায় পাশ করা কঠিনতম। সর্বোচ্চ স্কোরপ্রাপ্তকে তুলনা করা হয় আইনস্টাইন বা হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানীদের আইকিউ-র সঙ্গে।”
“মালিহা এই সাফল্যে যতখানি না অবাক করা, তার চেয়েও বেশি খুশি তার বাবা-মা। মেয়ের বুদ্ধির এই বহর এতখানি সেটা আগে অনুমান করতে পারেননি তারা। এবারে মেয়ের প্রতিভাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও সচেষ্ট হবেন বলে জানিয়েছেন মালিহার বাবা।”