মৌলভীবাজার অফিস।। সোমবার, ২৩শে মাঘ ১৪২৩।। রাজনগরের জাহিদপুরে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিতে এগিয়ে এল প্রশাসন। সাম্প্রতিককালে মৌলভীবাজারে বাল্যবিবাহ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবনতা সমাজের হতদরিদ্র মানুষের মধ্যেই বেশী। এই সব মানুষ অশিক্ষিত ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। এই সব মানুষের মধ্যে শুধু বাল্য বিবাহই নয়,বহু বিবাহও প্রচলিত আছে। বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ হিসেবে জানা যায় যে, অশিক্ষা, মেয়ের নিরপত্তার অভাব, লোভ, দরিদ্রতা ও বাল্যবিবাহ আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, মাতা-পিতা অর্থ লোভে মেয়েকে কিশোরী অবস্থায় বিয়ে দিয়ে দেয়। আবার কখনও কেলেংকারীর ভয়ে বিয়ে দিতে বাধ্যহয়।
অনুরুপভাবে সোমবার মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুরে একটি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হবার প্রাক্ষালে প্রশাসন খবর পেয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফতেপুর ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামের ইসলাম মিয়া মেয়ে মারজানা বেগম (১৬/১৭) এর সাথে একই ইউনিয়নের সাফাতপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার পুত্র রাজু আহমদ এর বিয়ের দিন ধার্য্য হয় সোমবার ৬ই ফেব্রুয়ারী। স্থানীয় উমরপুর বাজার কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ রাজনগর ইউএনওকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানার এসআই রাজিব হোসেন ঘটনাস্থলের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেন। এদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে বাল্য বিবাহ পন্ড হয়ে যায়। এই বিবাহে আগত অতিথিরা বর ও কনে বিহীন বিয়েতে দুপুরের খাবার শেষে যার যার গন্তব্যে চলে যান। রাজনগর থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম সরওয়ার বলেন, দুই বছর পরে দুজনের মধ্যে বিয়ে দেয়া হবে এই মর্মে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার আগেই বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।