মুক্তকথা: মসুল থেকে পালাতে চাওয়া ১৪৫ জন ইরাকি নাগরিককে খুন করে তাদের মৃতদেহগুলি রাস্তার ধারে ইলেকট্রিক পোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস)। ইরাকের এক নিরাপত্তা অফিসার এই খবর দিয়েছেন।
ইরাকের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘এফে নিউজ’ জানিয়েছে, মসুল শহরের পাশেই রয়েছে আরেকটি শহর আল-ঝানজিলি। আইএসের ভয়ে সেখানকার মানুষ দলে দলে ইরাক ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন অন্য দেশে। কিন্তু সীমান্ত পেরোনোর আগেই তাঁদের ধরে ফেলে আইএস জঙ্গিরা। তার পর ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে ১৪৫ জনকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। তাঁদের মৃতদেহগুলি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ইলেকট্রিক পোস্টে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে খবরটি প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার। আইএসআইএস কর্তৃক হত্যার খবর এখন আর তেমন গুরুত্ব বহন করতে দেখিনা আন্তর্জাতিক বা প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দেশীয় সংবাদ মাধ্যমে। এ যেনো সহনশীল সচরাচরের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। উপরের খবরটিও আনন্দবাজারসহ কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশের নমুনায় তাই মনে হয়েছে আমার কাছে। এ নিয়ে বিশাল অতীত ইতিহাস ঘাটিয়ে সাহিত্যরচনা করে লাভের কিছু দেখিনা। হয়তো আমার সাহিত্য চর্চ্চা হবে! কিন্তু ইরাকের মশুলের মানুষগুলোর কোন উপকারেই আসবেনা। তাই, খুবই সংক্ষেপে একটি কথা বলতে চাই আর তা হলো- আর কত কাল এ হ্ত্যা যজ্ঞ চলবে? জাতিপুঞ্জ আসলেই কি কোন শক্তি রাখে, না-কি নামেই শুধু মহাভারতীয় উপখ্যানের সেই মহাপরাক্রমশালী ভীষ্ম। যিনি বস্ত্র হরণের পরও বাক্যব্যয় ছাড়া বস্তুতঃ কিছুই করতে সক্ষম ছিলেন না। যুদ্ধে প্রান বিসর্জন দিয়ে তা প্রমাণ করেছিলেন।