শেষ হলো শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি উৎসব
শতবর্ষী ভিক্টোরিয়া স্কুল প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে মিলনকানন
একেবারে তৃণমূল থেকে প্রায় পাঁচশতাধিক শিশু-কিশোর আবৃত্তিকার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি উৎসব-১৪৩১।
গতকাল শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, উৎসবের মূল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে।
উৎসবের আহ্বায়ক দেবাশীষ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আবৃত্তি উৎসবের মূল পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বর্ধন, প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী, প্রাঙ্গণ গ্রুপের প্রধান পুলক সূত্রধর।
শুক্রবার সকালে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম মোখলেছুর রহমান।
উৎসবের অন্যতম সংগঠক, আবৃত্তিকার দেবাশীষ দাশ জানান, সিলেট বিভাগে এই প্রথম আবৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। শ্রীমঙ্গলের পাঁচশতাধিক শিশু-কিশোর আবৃত্তিকার থেকে বাছাই করে ২৭২ জন শিশু-কিশোর অংশ নেন দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি উৎসবের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায়।
দিনজুড়ে প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে কচিকাঁচার মেলার শিশুদের চমৎকার পরিবেশনার পর শ্রীমঙ্গল আবৃত্তি সংসদ ও ‘পাঠ’ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিবেশন করে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের দূরের পাল্লা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেবতার গ্রাস, একক ও দলগত পরিবেশনা মা, অনুরাগ ও মুক্তপর্ব। দর্শক শ্রোতারা তাদের আবৃত্তি পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন।
আবৃত্তি উৎসবে দর্শক ও অংশগ্রহনকারীগন। |
প্রায় মাস ব্যাপী শ্রীমঙ্গল উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে মূল প্রতিযোগিতায় উঠে এসেছে আবৃত্তিশিল্পীদের আগামী প্রজন্ম। প্রতিযোগিতার মান নির্বাচনেও ছিল ভিন্নতা।
অংশগ্রহণকারীগন হলেন- দেওয়ান শামছুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুরভুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌরসভা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাড়াউড়া চা বাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, যোগেন্দ্র মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল মডেল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়, বর্ডারগার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী রশিদ মিয়া মেহেরজান উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম রাছুলজান আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাজেরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, বিষামণি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্ডারগার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুনবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয়, ধোবারহাট বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বৌলাশীর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আছিদউল্লআহ উচ্চ বিদ্যালয়, সাতগাঁও সামাদিয়া আলিম মাদ্রাসা, আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট মার্থাস উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ মোস্তফা জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মনাইউল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা, গাউছিয়া শাফিকিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরসুর কুলচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয়, হুগলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রানার উচ্চ বিদ্যালয়, ডোবাগাঁও বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ভৈরবগঞ্জ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, বরুনা হাজী জালালউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজনগর গাউছিয়া জে এস এস আর মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজ, দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজ, উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ কলেজ ও দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।
শ্রীমঙ্গলের ভূনবীরের মেয়েরা করলো জেলা জয়
আমাদের মেয়েদের নিয়ে আরও এগোতে চাই।
শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ ইং এর “বালিকা ভলিবল” প্রতিযোগিতায় মৌলভীবাজার জেলায় চ্যাম্পিয়ান হয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার “ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল এন্ড কলেজ”।
গতকাল শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম দফার খেলায় কমলগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। সেমিফাইনালে কুলাউড়াকে হারিয়ে ফাইনালে এবং ফাইনালে রাজনগরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়।
খেলায় অংশগ্রহণ করেন উর্মি সরকার, ঝুমকী বৈদ্য, প্রম্য দাশ, লাকী দেবী, জয়ীতা আচার্য্য, শর্মী বৈদ্য, তুষ্টি সরকার, মুন্নী সবর, নবনীতা দেব বর্মা। কোচের দ্বায়িত্ব পালন করেন আলতাফ হোসাইন মোর্শেদ, সহ কোচ দেব প্রসাদ শীল ও শুভ সাঁওতাল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ঝলক চক্রবর্তী বলেন, এ জয় এখন শুধু উপজেলার নয়, এরা এখন মৌলভীবাজার জেলার প্রতিনিধি। আমরা আমাদের মেয়েদের নিয়ে আরও এগোতে চাই।