1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ইতিবাচক হও! - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

ইতিবাচক হও!

তনিমা রশীদ॥
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
  • ১১৬১ পড়া হয়েছে

Be positive

“ভালো কিছু চিন্তা কর, কারণ আমাদের চিন্তা এক সময় প্রতিজ্ঞায় পরিণত হয়” মহাত্মা গান্ধী।
ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে এমন এক মানসিক মনোভাব ধারণ করা যার জন্য আমরা প্রতিটি কাজ ভালো ও সন্তুষ্টজনক ফলাফল আশা করি। অন্যভাবে বলতে গেলে ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হতাশা না হয়েও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতিকে নিজে অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে যাওয়া। সাইকোলজিতে নেগেটিভ শব্দ টাকে ইগনোর (অগ্রাহ্য) করা হয়। একটি গ্লাসের অর্ধেক অপূর্ণ থাকলে বলতে হবে, গ্লাসটির অর্ধেক পানিতে পূর্ণ। অর্থাৎ আপনাকে সর্বদা কোন কিছুর ভালো দিকটির দিকে নজর দিতে হবে। আপনাকে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। কেনোনা নেতিবাচক চিন্তাধারা মানুষকে পেছনে টেনে রাখে। জীবনকে সুস্থ ও সুন্দর করার জন্য ইতিবাচক চিন্তার কোনো বিকল্প নেই। নিজেকে ইতিবাচক চিন্তা ধারার মধ্যে রাখতে আমাদের যা করা উচিত।

ইতিবাচক কোনো কাজ করতে হলে আমাদের প্রথমে ইতিবাচক মানসিকতা আনতে হবে। আমাদের সব সময় নেতিবাচক চিন্তা ধারার মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ নেতিবাচক চিন্তা ধারার মানুষের সঙ্গে থাকলে নিজের অজান্তে আমরাও তাদের মত নেতিবাচক চিন্তা ধারার মানুষ হয়ে যাব। আমাদের সব সময় উচিত অন্যকে সাহায্য করা। কারণ, অন্যকে সাহায্য করলে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় যা আমাদের ইতিবাচক মনোভাব দৃঢ় করতে সাহায্য করে। আমাদের সব সময় কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আমাদের কাছে যা নেই তা নিয়ে আফসোস না করে, যা আছে তা নিয়ে ভাবুন কারণ তোমার কাছে যা আছে তা অন্যের কাছে নাও থাকতে পারে। আর থাকলেও সমস্যা নেই তোমার কাছেও তা আছে। কৃতজ্ঞতা বোধ করুন এটা আপনার মনকে শক্তিশালী করে তুলবে। সব সময় ইতিবাচক উক্তি পড়ুন। ইতিবাচক উক্তি আশা বাড়ায়, মনের ভয় দূর করে, বিষন্নতা দূর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,

“সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই বলুন – প্রভু ধন্যবাদ নতুন দিনের জন্য। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এইভাবে।”
“ কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকতার সাথে জানাবেন।”
“সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি হলো নিজের সম্পর্কে নিজের মনে একটি ইতিবাচক ও শক্ত অবস্থান গড়ে তোলা।”

কোনো ভুল হলে আমরা নিজেদেরকে দোষারোপ করি যা আমাদের মনে নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দেয়। তাই আমাদের উচিত নিজেকে ক্ষমা করা কারণ মানুষ মাত্রই ভুল আর ভুল তাঁরাই করে যারা কাজ করে। কোনো কাজ করলে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত হীনমন্য না হয়ে। আমরা কেউই নিখুঁত নই এই কথাটা মনে রাখলে নিজেকে ক্ষমা করা সহজ হবে। জীবনের সকল ব্যর্থতাকে সুযোগ হিসেবে নিন। ব্যর্থতাই হচ্ছে সাফল্যের ভিত্তি স্তম্ভ। আমাদের জীবনের নেতিবাচক ব্যর্থতাগুলো আমাদের জীবনের বড় বড় সাফল্যের পথ তৈরী করে দেয়। যেমন ধরুন আপনার চাকরি চলে গেছে। আপনি ভাবছেন সবকিছু শেষ। আসলে কি তাই? ভেবে দেখুন আপনার জীবনে আরেকবার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। এখন আপনি চাইলে নতুন কিছু করতে পারবেন নতুন করে শুরু করতে পারবেন। জীবনের গতি অন্য দিকে ঘুরাতে পারবেন। সেই গতিকে পজিটিভ দিকে নিবেন নাকি নেগেটিভ দিকে নিবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে।

কলম্বিয়ার বিখ্যাত সংগীতশিল্পী সাকিরাকে তো আপনার সকলেই চিনেন। তিনি শুধু কলম্বিয়ার নয় সারা বিশ্বের জনপ্রিয় একজন শিল্পী। আপনি কি জানেন এই শিল্পীকে তার সংগীত শিক্ষক গান গাইতে নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি ভাবতেন সাকিরা গান গাইতে জানে না এবং তার গলার স্বর ছাগলের মতো। এখন ভাবুনতো সাকিরা যদি নিজেও তা ভাবতেন যে তার গলার স্বর ছাগলের মতো, তাহলেকি সে আজ এতো বড় সংগীতশিল্পী হতে পারতো। সুতরাং যখন মনের মধ্যে নেতিবাচক কিছু ঘুরপাক খাবে তখন তার মোড় ঘুরিয়ে ইতিবাচক কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যাবেন। তাহলে দেখবেন জীবন অনেক সহজ ও সফল হয়ে গেছে।নিজেকে ইতিবাচক করে গড়ে তুলুন তাহলে আপনি ইতিবাচক ফল পাবেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT