কুলাউড়া প্রতিনিধি।। কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে এক ইউপি সদস্যকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে ধর্ষণ ঘটনা সাজানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন লুলু মিয়া নামক এক ব্যক্তি। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে বেশ চান ল্যের সৃষ্টি হয়। এঘটনায় ইউপি সদস্য কেরামত আলী কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
সরেজমিন গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের আলীনগর এলাকার বাসিন্দা হতদরিদ্র লুলু মিয়া দুস্কৃতকারীদের প্ররোচনায় স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ষাটোর্ধ্ব কেরামত আলীকে ফাঁসানোর চেষ্টায় গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁর স্ত্রীকে ওই মেম্বারের বাড়ির সামনে শুইয়ে রাখেন। ভোরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে লুলু মিয়াকে ধরে এনে স্ত্রীকে তার হাতে তুলে দেন।
ঘটনাস্থলে লুলু মিয়ার আপন চাচা বাছন মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে লুলু মিয়া তাকে বলে, আপনাকে পঞ্চায়েতের লোকজন ডাকছেন মেম্বারের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। তিনি সেখানে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে লুলুকে জিজ্ঞাসা করেন, এখানে তো কেউ নেই। এক পর্যায়ে দেখেন লুলুর স্ত্রী রাস্তার পাশে শুয়ে আছে। এসময় বাছন মিয়া লুলুকে ধমক দিয়ে বলেন, এগুলো কি হচ্ছে, তুই যা করছিস বিপদে পড়বি। একথা বলে তিনি সেখান থেকে ঘরে ফিরে আসেন।
লুলুর আপন ছোট ভাই আল আমিন এবং চাচাতো ভাই ফাজিল মিয়া বলেন, লুলু অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল এবং খারাপ প্রকৃতির লোক। সে কাউকে পরোয়া করে না। সামান্য টাকার লোভে পরের প্ররোচনায় যা ইচ্ছে তাই করে। মেম্বার সালিশে ন্যায় বিচার করায় তার বিরুদ্ধে সে ষড়যন্ত্র করছে। নিজের ভাইকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনলে সত্য বিষয়টি বের হয়ে আসবে।
|
এবিষয়ে লুলু মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমার স্ত্রীকে মেম্বার সাথে নিয়ে গেছেন এমন খবর পেয়ে আমি উনার বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী মাটিতে শুয়ে আছে। পরে অনেককে ডাকাডাকি করলেও কেউ আমার ডাকে সাড়া দেয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কেরামত আলী বলেন, শুক্রবার এলাকায় একটা সালিশ বৈঠক ছিলো। রাত ১২টায় বৈঠক শেষ হয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে উপস্থিত ছিলেন। পরে আমি বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে যাই। সকালে স্থানীয় লোকজন এসে জানান, একজন মহিলা রাস্তায় পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কুলাউড়া থানার ওসিকে বিষয়টি জানাই। তিনি আরও বলেন, লুলু ও তার ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাধ চলছে। সালিশে সঠিক বিচার করতে গিয়ে লুলু অসন্তুষ্ট হয়। এরই জেরে সে আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষদের মদদে এসব ষড়যন্ত্র করছে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ইউপি সদস্য সকালেই আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং উনি একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। এবিষয়ে আর কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
|