1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কমলগঞ্জের দিনলিপি- মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

কমলগঞ্জের দিনলিপি-

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২৪৯ পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জে নারী চা শ্রমিকের হত্যার রহস্য উদঘাটন

তিন এতিম শিশু সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক আবেদন ওসি(তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর চা বাগানের ১০ নং লাইন (পাক্কা লাইন) এর শ্রমিক বস্তির নারী শ্রমিক দিপালী রায় (৪০) এর রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। গত রোববার মৌলভীবাজার আদালতে নারী চা শ্রমিক হত্যার কথা স্বীকার করেছে আলীনগর চা বাগানের মৃত সিকান্দর আলীর ছেলে চা শ্রমিক ইসহাক মিয়া (৪০)। দিপালী নায়েক প্রান্তিক লেভেলে বসবাস কারী একজন চা-শ্রমিক। তাহার দুই মেয়ে স্মৃতি নায়েক (১৩) ও বিরতী নায়েক (৩) এবং ছেলে বিশ্বজিৎ নায়েক (৭) নিয়ে দিপালীর পরিবার। দিপালীর এক কক্ষের বসত ঘরে একটি খাট ছাড়া উল্লেখ করা মত তেমন কিছু নাই। গত দুই বছর পুর্বে দিপালীর স্বামী সরতু নায়েক যক্ষা রোগে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর দিপালী নায়েক চা-বাগানে কাজ করে সপ্তাহ অন্তে প্রায় ছয়শত টাকা রোজগার করে কোনমতে সংসার চালাতো। দিপালী নায়েকের এতিম তিন শিশু সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন মানবিক আবেদন জানান কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ।
কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ভোরে আলীনগর চা বাগানে নারী চা শ্রমিক তিন সন্তানের জননী দিপালী রায়কে নিজ ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি রহস্যজনক ভেবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। গোপানে পুলিশি তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে একই চা বাগানের চা শ্রমিক ইসহাক মিয়াকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে রোববার সকালে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী দিয়ে নারী চা শ্রমিককে হত্যায় দায় স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ বলেন, আদালতে আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে, ঐ নারী চা শ্রমিকের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি নারী চা শ্রমিক আরও পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। মৃতের গলায় আঘাতের (রশির) দাগ ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় হত্যার রহস্য উদঘানের জন্য পুলিশী তদন্ত।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ আরো বলেন, মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জান, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান এর সার্বিক সহায়তায় দিপালী নায়েকের হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য তাহার ছেলে, মেয়েকে আলীনগর চা-বাগানের অফিসে নিয়া বিভিন্ন পন্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মৃত দিপালী নায়েকের ছেলে-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে ফাঁকে মনে হয়েছিল অজ্ঞাত নামা আসামীরা দিপালী নায়েককে হত্যা করে হয়তো সংসার যন্ত্রনা থেকে তাহাকে মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু তাহার রেখে যাওয়া সন্তানরা কিভাবে বেঁচে থাকবে? তাদের যে জীর্ন পোষক শ্বীর্ন দেহ। কত দিন যাবৎ যে তাহারা ভাল খাবার খায়নি, মাথায় তেল সাবান দেয়নি? তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই বাচাই এবং বাগানের আনাচে-কানাচে হইতে তথ্য সংগ্রহ জন্য মাঠে নামে কমলগঞ্জ থানার চৌকস পুলিশ টিম (এসআই চম্পক দাম, এ এসআই আব্দুল হামিদ, এএসআই উত্তম কৈরীসহ আরও)। পুলিশি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিভিন্ন উৎস হইতে প্রাপ্ত তথ্যের শুরু হয় চুলছেড়া বিশ্লেষণ। অত:পর আলীনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক ইছাক মিয়া (৪০). পিতা-মৃত সিকান্দর মিয়া গ্রেফতার হয়। বিভিন্ন কৌশল ও বিজ্ঞান ভিত্তিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের নির্মম কাহিনী। ।
চা-বাগানে হাজির হইয়া স্মৃতি নায়েক, বিরতী নায়েক ও বিশ্বজিৎ নায়েকে তাদের মা এর হত্যাকারীকে গ্রেফতারের সংবাদ জানালে তাদের মুখে শত কষ্টের মধ্যে ও এক নির্মল হাসি দেখতে পান।
বাংলাদেশের প্রচলিত বিচারে হত্যাকারী ইছাক মিয়া (৪০) এর শাস্তি হবে। কিন্তু পিতা-মাতাহীন এতিম ছেলে-মেয়েদের বেঁচে থাকবে কিভাবে? অনেকই হয়তো বলেতে পারেন, মেয়েটি (স্মৃতি নায়েক) স্থানীয় কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী। তার মায়ের মতো বাগানে কাজ করে পরিবারের হাল ধরবে। হ্যাঁ এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমরা কি পারি না এই এতিম বাচ্ছাদের জন্য কিছু করতে? বিষয়টি মনে হয় আমরা সবাই ভেবে দেখা উচিত। এ কথা উল্লেখ করে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন। পুলিশ কর্মকর্তার মানবিক এই পোস্টে নারী চা শ্রমিক দিপালী নায়েকের ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্য সকলের সহায়তায় ২/৩ লক্ষ টাকার একটি তহবিল গঠন, কমপক্ষে দশম শ্রেনি পর্যন্ত স্কুলে বেতনসহ অন্যন্য শিক্ষা উপকরনের ব্যবস্থা, ছোট ভাই ও বোনকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহন, আগামী ৫ বছর তাদের বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তাদের বসবাসের জন্য বাগানে ঘরে বিনা ভাড়ায় বসবাস করার জন্য প্রস্তাবনা ও মতামত তুলে ধরেন। এতিম তিনটি শিশু সন্তানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দেখে অনেকেই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সমাজের বিবেকবান ও বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলেই চা বাগানের তিন এতিম সন্তান সুন্দর আগামী পৃথিরী দেখতে পারবে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হলে সে মামলার প্রধান আসামী ইসহাক মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাতে আলীনগর চা বাগানের তার নাম দিপালী রায় (৪০) নাম নারী চা শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জে পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত ২

টমেটো ক্ষেতে বাঁশ দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রথম দফা স্থানীয় ইউপি সদস্যের সামনেই এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কাঠের টুকরোর আঘাতে প্রাথমিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন সোহেল মিয়া (৩৫)। এ ঘটনার খবর পেয়ে সোহেল মিয়ার নিকট আতœীয়রা হামলা চালিয়ে মুহিদ মিয়া (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করে। এদিকে আহত সোহেল মিয়াকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মুহিদ মিয়াকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। গত ২৪ আগষ্ট শনিবার বিকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হেরেংগাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে কমলগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
হেরেংগা বাজারের প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী তাহির মিয়া বলেন, আমি ও ইউপি সদস্য আমার দোকানে বসাছিলাম। এমন সময় মুহিদ মিয়া ও সোহেলের মধ্যে টমেটো ক্ষেতের বাঁশ দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় কাজ থেকে আসা মুহিদ মিয়ার হাতে থাকা দায়ের কাঠের হাতল দিয়ে সোহেলের মাথায় আঘাত করলে সোহেল রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আছকর খান তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
আহত মুহিদ মিয়া ও তার বাবা পুতুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আছকর খাঁন এর উপস্থিতিতেই মুহিদ মিয়াকে বনগাঁও গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ও তার আতœীয় স্বজন মুহিদকে টেনে হিচড়ে বের করে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় মুহিদের মা আকারুন বেগম ছেলেকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য আছকর খাঁনকে আকুতি মিনতি করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। পরে স্থানীয়রা মুহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে আদমপুর ইউপি সদস্য আছকর খাঁন বলেন, এ হামলার সাথে কোনভাবেই সরাসরি জড়িত নই। আমি মুহিদকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্ত আমার নামে মিথ্যে অভিযোগের অপবাদ ছড়িয়ে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে একটি চক্র।
সোহেল মিয়ার পিতা চান্দু মিয়া বলেন, আরেক জনের সাথে কথারত অবস্থায় মুহিদ আমার ছেলে সোহেল এর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে আমার আত্মীয় স্বজন ছুটে আসলে মুহিদ তাদের উপর ক্ষেপে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এ ঘটনায় প্রথমে মুহিদ মিয়ার মা আকারুন বেগম বাদি হয়ে ২৬ আগষ্ট ইউপি সদস্য আছকর খানসহ ১৪ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ২৭ আগষ্ট রজব আলী বাদি হয়ে আহত মুহিদ মিয়াসহ ৪ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক শহীদুর রহমান জানান, পৃথক দু’টি মামলা রয়েছে। তবে মুহিদ মিয়া বেশি জখমপ্রাপ্ত রয়েছেন। তদন্তক্রমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমলগঞ্জের পাত্রখোলা পুঞ্জিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত

“আদিবাসী ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত শনিবার, ২৫শে আগস্ট, দিনব্যাপী কারিতাস সক্ষমতা প্রকল্পের আয়োজনে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা পুঞ্জির আদিবাসী শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে শোভাযাত্রা, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাত্রখোলা পুঞ্জির মন্ত্রীর প্রিচিলিং সুঙ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি পিন্টু দেবনাথ, দি এশিয়ান এইজ প্রতিনিধি মো. মোনায়েম খান। কারিতাস সক্ষমতা প্রকল্পের জেপিও মখলিছুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাসি সোস্যাল কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক ও সক্ষমতা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মি. এলিসন সুঙ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কারিতাস সক্ষমতা প্রকল্পের জেপিও চয়ন চক্রবর্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের চা শ্রমিক নেতা ইসলাম খান, মদনমোহনপুর চা বাগানে সাবেক প ায়েত কমিটির সভাপতি সুকুমার দুষাদসহ আদিবাসী নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যায় আদিবাসীদের পরিবেশনার এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন পাত্রখোলা পুঞ্জি, হিরামতি পুঞ্জি, গারোটিলা, মদনমোহনপুর চা বাগানের শিল্পীবৃন্দ। পরে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী ফিতা কেটে দিনব্যাপী আনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

শোক সংবাদ

॥ রেনুবালা শর্ম্মা ॥

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ধীতেশ্বর গ্রাম নিবাসী ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মার মাতা রেনুবালা শর্ম্মা (৮০) শুক্রবার বিকাল ৪টায় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধীতেশ্বর গ্রামের নিজ পারিবারীক শ্মশানঘাটে প্রয়াত রেনুবালা শর্ম্মার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ও ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি নুরুল মোহাইমীন, সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি ডা: অবনী শর্ম্মা প্রমুখ।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ৩০শে সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে সম্মেলন হবে

পদ-পদবী দখলে নিতে দৌড়ঝাঁপ

সরব সোশ্যাল মিডিয়া

দীর্ঘ ১৫ বছর পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। গত সম্মেলনেকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় আসন্ন সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশাকে আহ্বায়ক এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলীকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতিমূলক একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলরুমে উপজেলা আওয়ামীলীগের বহুল প্রতিক্ষিত সম্মেলন অনুষ্টিত হবে। এই সম্মেলনকে ঘিরে এখন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। পদ-পদবী নিজেদের দখলে নিতে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের কাউন্সিলারদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। দ্বিধাবিভক্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। কারা কারা হচ্ছেন প্রার্থীত নিয়ে সরব আলোচনা চলেছে। সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব সমর্থকরা। পদপদবী দাবী করে নিজ নিজ সমর্থকরা ছবি দিয়ে দলীয় ফোরামের দৃষ্টি আর্কষন করছেন কেউ কেউ এবং কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে সম্মেলন সম্পর্কিত ব্যানার-ফেস্টুন ও দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীতায় কোন কোন পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়ার আভাস দেখা যাচ্ছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে পর পর দুইদিনে দুটি শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেখানো হয়েছে কে কত লোক সমাগম করতে পেরেছে। এতে স্পষ্টত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দুটি গ্রুপের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত সুত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এই কমিটি দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে। কমিটি দীর্ঘ দিন থাকার পর ও দলকে গোছাতে পারেনি। ৩ বছর পর পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলে ও দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কোন সম্মেলন হয়নি, এমনকি এই সময়ের মধ্যে উপজেলার কোন ইউনিয়ন কমিটিও গঠন করতে পারেনি। এছাড়া দলের মধ্যে সম্প্রীতির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। দলের ভেতরে ভেতরে একাধিক গ্রুপিং এর সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচীতে নানা অজুহাতে অনুষ্টানে অনেক নেতৃস্থানীয় নেতাদেরকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তাই দলের এই অবস্থার পরিবর্তন চাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নেতৃত্বের দাবী উঠেছে তৃণমূলে। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের কমিটিতে পরিবর্তন আসছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- সভাপতি পদে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, সাবেক চেয়ারম্যান আছলম ইকবাল মিলন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিদ্দেক আলী এবং সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. এএসএম আজাদুর রহমান আজাদ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. জুয়েল আহমেদ, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আহবায়ক সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাহীদ আলী প্রমুখ।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT