তিনি আরো বলেন,‘নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে জয় পরাজয় থাকবেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনগনের সেবা করার জন্যই মেয়র হতে চেয়েছিলেন, আমিও সেটাই চেয়েছি। জনগন আমাকে বেশি ভোট দেয়ায় আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। উনাকেও জনগন ভোট দিয়েছে। তাই জনগনের যে আশা আকাংখা, আমরা দু’জন যদি মিলেমিশে কাজ করি তাহলে মানুষের সে আশা আকাংখা পুরন করে শান্তির আবহ গড়তে সহজ হবে।’
তিনি শান্তিপুর্ন ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের সকল সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী যদি আমার সাথে থেকে দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, ন্যায়কে ন্যায়, অন্যায়কে অন্যায় বলেন তাহলে আমাদের এই পর্যটকের শহর আগামীতে আরো সুন্দর হবে।
আমরা ভাল কাজে এক হতে পারি না কেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মেধাবীদের মূল্যায়ন করা না হলে মেধাবী জন্মাবে না। ভাল কাজে প্রশংসা না করলে ভাল কাজ যারা করে তারা উৎসাহ পাবে না।সাংবাদিকেদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার বাগার সরানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে এক মিনিটেই সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আমি বাগারের জন্য জমি কিনেছি, বাওয়ান্ডারী করার জন্য কাজ শুরু করলে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় গেইট লাগিয়ে বাধা দিয়ে মামলা করে কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি মামলা তুলে গেইটটা খোলে দিলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
যারা শহরের ফুটপাত দখল করে, এলোপাতাড়ি ভাবে গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টি করে এবং যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পর্যটন নগরীর সৌন্দর্য বিনষ্ট করে এদের ব্যাপারে আপনারা সহযোগিতা করলে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি চাই পর্যটন নগরীকে একটা পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে।উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর প্রথম বারের মতো ইলেকট্রনিক ভোট মেশিন(ইভিএম) এর মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হককে ৪৫৭ ভোটে পরাজিত করে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি মোট ভোট পান ৫৯৮৯ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক পেয়েছিলেন ৫৫৩২ ভোট। |