লণ্ডন।। গেলো সোমবার কলকাতায় হয়েগেলো বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে আলোচনা চক্র। কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস ও মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স-এর যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদ্য উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের সাফল্য উদযাপনেই ছিল এ আয়োজন। কলকাতায় সোমবারের এই আলোচনা চক্রে সমাজ বিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদেরা একটি সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন বাংলাদেশকে। তাঁদের সেই সতর্কবার্তা হলো- মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে আটকাতে ব্যর্থ হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটায় বড় সমস্যা হতে পারে। এরই সাথে রয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে বিদেশি ঋণের ফাঁদ। তাতে পা দিলে শ্রীলঙ্কা বা মায়ানমারের মতো পেছিয়ে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ নিয়ে এমন সতর্কবার্তাবাহী খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পত্রিকা আনন্দবাজার।
আদ্যপান্থ স্বার্থান্বেষী, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুধীতাকারী আমেরিকার কিসিঞ্জারের বাংলাদেশ নিয়ে সে সময়ের ব্যঙ্গোক্তি ‘তলা বিহীন ঝুড়ি’র কথা উল্লেখ করে আলোচনায় অংশগ্রহনকারী বিজ্ঞজনদের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, উন্নয়নশীল দেশের স্থায়ী সনদ পেতে হলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে কমপক্ষে আরো ৬বছর ধরে রাখতে হবে। তবে কেনো এ ৬বছর তার কোন ব্যাখ্যা আনন্দবাজার দেয়নি।
আলোচনায় উপস্থিত ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী অবশ্য খুবই আশাবাদী। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে পারবে। আলোচনায় অংশগ্রহনকারী প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী রাজা গোপাল ধর চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ন্যায় দূর্ণীতির বিরুদ্ধেও ‘জিরো টলারেন্স’ঘোষণার সুপারিশ করেছেন। শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের কথা উল্লেখ করে রাজা গোপাল বলেন- বন্দর গড়তে চিনের থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে সেই বন্দর কার্যত চিনের হাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারকে। অতএব ঢাকাকে এ বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
আয়োজিত এই আলোচনা সভায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান ও বিশাল ঝাঝারিয়া দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নানা দিক নিয়েও কথা বলেন।