কাজী শহীদ।। তখনও কেমডেনে বাঙ্গালীদের কোন কিছুই জমে উঠেনি। হাটি হাটি পা পা করে এগুচ্ছে। এ সময়, কেমডেন বাঙ্গালীদের সংগঠন ‘সুরমা সেন্টার’ গায়ে-গতরে রং মাখছে। তারই দ্বিতীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ এনামূল হক। টগবগে তরুণ না হলেও এনামূল হকের তখন যৌবন চলছে। সবেমাত্র দেশ থেকে এম এ পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য এদেশে এসেছেন।
সময়টা তখন ১৯৭৬ সাল। বুদ্ধিমান অনেকেই উচ্চশিক্ষিত, আচার-ব্যবহারে ভদ্র-নম্র-সদালাপী এনামূল হককে ধরে এনে ‘সুরমা সেন্টার’এর সভাপতির আসনে বসালেন। ফলে কেমডেনের বাংগালীদের নব্য গড়ে উঠা এই সংগঠন ‘সুরমা সেন্টার’এর তিনি হলেন দ্বিতীয় সভাপতি। সাধারণ মানুষের সাথে চলাফেরা, আলাপ-আলোচনা, আচার-ব্যবহার সবমিলে ধীরে ধীরে এনামূল হক হয়ে উঠলেন সকলের মনের মানুষ, প্রানের প্রিয় এনাম ভাই। সকলের প্রানপ্রিয় সেই এনাম ভাই আর নেই। গত বুধবার ২১ অক্টোবর ১-৫০ মিনিটে মিসহাম-এর নিজ বাড়ীতে ষ্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত শনিবার ২৪ অক্টোবর ২০২০, সকাল সাড়ে ১০টায় মর্ডেন ও সাটন-এর যুক্ত কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
স্ত্রী, ৩মেয়ে সহ বহু বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২বছর। মরহুম এনামূল হক স্থায়ীভাবে সিলেটের দরগা গেইট এলাকার বাসীন্ধা হলেও মূলতঃ তারা মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরের স্থায়ী মানুষ।
|