1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কোন খুনকেই মেনে নেয়া যায় না, লাগাম দিতে পুলিশের শক্তি বাড়াতে হবে - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

কোন খুনকেই মেনে নেয়া যায় না, লাগাম দিতে পুলিশের শক্তি বাড়াতে হবে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৫৭৯ পড়া হয়েছে

গত ৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৯, খুন হয়ে যাওয়া একজন মা সাকিরা মার্সিডিস। ছবি: ফেইচবুক

মুক্তকথা নিবন্ধ।। খুনের ঘটনা লণ্ডন শহরে এখন আর নতুন কিছু নয়। এ বছরের সূচনাই হয় ৩৩বছর বয়সী একজন মায়ের রক্ত ঝড়ানোর মধ্য দিয়ে। তাকে চাকুমেরে রক্তাক্ত করে হ্ত্যা করা হয়। ‘চারলট হাগিনস’ নামের ‌ওই মহিলা দক্ষিণ-পূর্ব লণ্ডনের কেম্বার ‌ওয়েলের মানুষ ছিলেন। তাকে হত্যার ঘন্টাখানেকের মধ্যে ৩৩বছর বয়সী একজন নিরাপত্তাকর্মী ‘তুদর সিমিওনভ’কে চাকুমেরে হত্যা করা হয়। লণ্ডন শহরের বড়লোকদের এলাকা মেফেয়ারের পার্কলেইনে আয়োজিত খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষজনদের “সেক্সপার্টি”তে দাড়োয়ানের কাজ করছিলেন। কতিপয় লোক বড়লোকদের ওই সুখকর আয়োজনে ঢুকে পড়তে চাইলে তিনি দায়ীত্বরত হিসেবে বাধা দেন। ফলে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাকু দিয়ে আক্রমন করে এবং তিনি মারা যান। তুদর ছিলেন রুমানিয়ার মানুষ। ভবিষ্যৎ সুখের স্বপ্ন দেখেছিলেন বৃটেনের মাটিতে। সুখ না হলেও হয়তো চিরনিদ্রা এ মাটিতেই হবে। এভাবেই একের পর এক খুন হতে হতে এ বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লণ্ডনের বিভিন্ন হানা-হানিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯জনে।

এ বছর এ পর্যন্ত ২০জন বালক-বালিকা খুন হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮জনের চাকুজখম খুবই মারণাত্মক। অবস্থা দেখে মনে হয় খুন করে নেয়া অনেকটা আচারে পরিণত হয়েছে।

গেল ২০১৮সাল ছিল গত একদশকে লণ্ডনের সবচেয়ে রক্তাক্ত হানা-হানির বছর। এ বছর খুনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৩২জন।
পুলিশের মতে, অবস্থাসম্পন্ন মানুষের, এ শ্রেণীভুক্ত মাদকের প্রতি আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় হিংসাত্মক দলাদলির অপরাধ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য থেকে দেখা যায়, গত ৭বছরে সরকার ৮১টি ইয়োথ ক্লাবের তহবিল ও কাউন্সিলের ইয়োথ প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়। ফলে এখান থেকে সরকার সাশ্রয় করেছে ৪০মিলিয়ন পাউণ্ড অর্থাৎ ৪কোটী টাকার সমপরিমান অর্থ। এই সাশ্রয়ের বিনিময়ে প্রান দিতে হয়েছে শতাধিক মানুষকে।

বছরের শুরুতেই বিগত ১লা জানুয়ারী চাকু মেরে খুন করা হয় চার্লট হাগিন্সকে। ছবি: ফেইচবুক থেকে

শুধু তাই নয়, ২০১১সাল থেকে ‘স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড’এর বাজেট কাটা হয় শতকরা প্রায় ২০ভাগ। এ সময় পুলিশের সংখ্যা কমানো হয় শতকরা প্রায় ১০ভাগ। চাকুরীচ্যুত অনেক পুলিশ কর্মীকেও এখন রাস্তায় রাস্তায় ভেড়েন্ডা বাজাতে দেখা যায়।
কি করে, কিভাবে রাজধানী লণ্ডনে হিংসাত্মক অপরাধ এমন বেড়ে গেলো এর জবাবে পুলিশ এবং অন্যান্য অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের মত- “কাউন্টিলাইন ট্রেড”! “ন্যাশনেল ক্রাইম এজেন্সি”র হিসেবে বর্তমানে হাজারেরও বেশী “কাউন্টিলাইন ট্রেড” মাদক পাচার কাজ করছে। যা কি-না গত বছরের তুলনায় শতকরা ৪০ভাগ বেশী। এই অবৈধ রোজগারের বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ১.৮বিলিয়ন পাউণ্ড। “ন্যাশনেল ক্রাইম এজেন্সি”র হিসেবে আরো জানা যায়, প্রতিটি “কাউন্টি লাইন” দিনে অন্ততঃ ৫হাজার পাউণ্ড হিসেবে সকলে মিলে দিনে অন্ততঃ ৭মিলিয়ন বা ৭০লাখ পাউণ্ড আয় করে থাকে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ রোজগার।
পুলিশের দেয়া নাম এই “কাউন্টিলাইন ট্রেড” হলো, শহুরে মাদক বিক্রেতারা, রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন গ্রামীণ ক্রেতার কাছে মাদক সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজে বালক-বালিকা ও অনেক নাজুক অনুভুতির মানুষকে ব্যবহার করে।

যুবক-যুবতীদের বিনোদনের সরকারী সুযোগ-সুবিধে ব্যাপকহারে বাদ দিয়ে দেয়ায়, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুরাশাগ্রস্ত এসব মানবসন্তানকে বাধ্য হয়ে বেকার অবস্থায় রাস্তা-ঘাটে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ফলে অতি সহজেই এসব মানুষ নিজের অজ্ঞাতেই নানাবিদ দূষ্কর্মে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। সূত্র: গণমাধ্যম

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT