মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানার বহুল ও ”াঞ্চল্যকর রাজন আহমেদ রাজা হত্যার প্রধান আসামী আজাদ আহমেদ পীর আজাদ (৩১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনবেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃত আজাদ সদর উপজেলার হিলালপুর গ্রামের মৃত ছইদ উল্লাহ’র পুত্র। পিবিআই সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় গত ৩ জুলাই সিলেট শহরের একাধিক স্থানে তার অবস্থান রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে পিবিআইয়ের একটি চৌকস দল অভিযান চালায় এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সোমবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই আরো জানায়, মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ-বড়হাট এলাকায় আধিপত্য নিয়ে রাজন আহম্মেদ রাজা গ্রুপের সাথে আজাদ আহমেদ পীর আজাদ বাহিনীর পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গত বছরের ২১ জানুয়ারি রাজন আহম্মেদ রাজা তার দরগা মহল্লাস্থ ভাড়াটিয়া বাসা হতে অটোরিক্সা যোগে তার গ্রামের বাড়ী বুদ্ধিমন্ত পুর যাওয়ার পথে মৌলভীবাজার সদরস্থ শ্রীরাইনপুর নুরুল কোরান মাদ্রাসা ও খেয়াখাটের সামনে পৌছালে ১৫/২০জন লোক তাকে জোরপূর্বক আটকসহ মারপিট করে আজাদ পীরের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীগণ দা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়ার পর রাজন মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী সাকি বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় ২০জন এজাহারনামীয় ও আরো ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে (মামলা নং-১৭, তাং-২২/০১/২০২০ ইং) মামলা দায়ের করেন। মামলাটি মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় রুজুর পর তদন্তাধীন থাকাবস্থায় পিবিআই, মৌলভীবাজার অধিগ্রহণ করে। পিবিআই আরো জানায়, ডিআইজি পিবিআই, বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই মৌলভীবাজার জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ আবু ইউসুফ, এর তদারকিতে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ হাসানুজ্জামান তদন্ত করেন। মামলাটি পিবিআই, মৌলভীবাজার কর্তৃক অধিগ্রহণের পর তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে প্রধান আসামী আজাদ আহমদ পীর আজাদকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। পিবিআই আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, আমরা মামলাটির তদন্তভার পাবার পর পীর আজাদসহ আরো ১জনকে গ্রেফতার করেছি। এর আগে মডেল থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আদালতে আরো ১১ আসামী আত্বসমর্পণ করে পরবর্তীতে জামিন পায়। |